শুভব্রত মুখার্জি:- মাত্র কয়েকদিন আগেই নিউজিল্যান্ড সফর শেষ হয়েছে বাংলাদেশ সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের। তার পরপরেই টাইগারদের কোচিং স্টাফের বিভিন্ন পদ ফাঁকা হতে শুরু করেছে। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ বিসিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে একাধিক কোচিং স্টাফের। সেইসব পদ পূরণ করার জন্য বিসিবির তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাচক্রে স্পিন বোলিং কোচের পদ ফাঁকা থাকলেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি ওই পদের জন্য। তবে শোনা যাচ্ছে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা শেষ স্পিন বোলিং কোচ শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন তারকা স্পিনার রঙ্গনা হেরথ নাকি চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন বিসিবির সঙ্গে! তবে এবার টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার বদলে তিনি স্পিন বোলিংয়ের মেন্টর হতে পারেন বলে খবর। অর্থাৎ তরুণ প্রতিভাবান স্পিনারদেরকে ঘষেমেজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে দেওয়াই হতে পারে তাঁর কাজ।
বাংলাদেশ দলের জন্য পেস বোলিং কোচ, ব্যাটিং কোচ, পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট এবং স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বিসিবির তরফে। অথচ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে কিন্তু এই স্পিন বোলিং কোচের পদটি এখনও খালি রয়েছে! যদিও তার কোনও বিজ্ঞাপন কিন্তু দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রাক্তন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের ২ বছরের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের প্রথম টেস্টের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে হয়েছিল হেরাথকে। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার তখনই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে ফের ফিরে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।আর এবার সেই কথাই হয়ত বাস্তবে সত্যি হতে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্তা জানিয়েছেন বিদেশ সফরে স্পিন বোলিং কোচের প্রয়োজন হয় না। ফলে নতুন স্পিন কোচকে শুধু জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করে রাখতে চায় না বিসিবি। জাতীয় দল বিদেশ সফরে গেলে স্পিন কোচ দেশেই কাজ করবেন দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের স্পিনারদের সঙ্গে।বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, স্পিন কোচ হিসেবে রঙ্গনা হেরথকেই নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রস্তাবের শর্তে পরিবর্তন রয়েছে। নতুন করে যদি তিনি বাংলাদেশে আসেন তাহলে তাঁর পরিচয় হবে জাতীয় দলের স্পিন মেন্টর হিসেবে। এছাড়া ও চুক্তির মেয়াদ গোটা বছরের জন্য হবে না। হবে না দিনভিত্তিক। বিসিবির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বিভিন্ন দলের সঙ্গে বছরে ২০০ দিন কাজ করতে হবে স্পিন মেন্টরকে।