ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে নেই, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। বরং সব ফর্ম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তা সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচকরা আর মুখ ফেরাননি টিম ইন্ডিয়ার কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া কর্ণাটকের ব্যাটারের দিকে। জাতীয় দলে সুযোগ হচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরেই। এমনকি ভারতীয়-এ দলেও মায়াঙ্কের নাম বিবেচনায় রাখছেন না অজিত আগরকররা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টের দল ঘোষণার পরে মায়াঙ্ক ব্যাট হাতেই নির্বাচকদের জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গুজরাটের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আগ্রাসী শতরান করেন কর্ণাটক দলনায়ক। রবিকুমার সামর্থকে সঙ্গে নিয়ে কর্ণাটককে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন ক্যাপ্টেন আগরওয়াল।
আমদাবাদে এলিট সি-গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট। তারা প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ক্ষিতিজ প্য়াটেল। তিনি ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬১ বলে ৯৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪৩ বলে ৭২ রান করেন উমঙ্গ কুমার। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন চিন্তন গাজা।
কর্ণাটকের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪টি উইকেট নেন বাসুকি কৌশিক। ২টি করে উইকেট দখল করেন প্রসিধ কৃষ্ণা, বিজয়কুমার বৈশাক ও রোহিত কুমার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে তাদের প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৪৭ রান তুলে ফেলে। দিনের প্রথম সেশনে তারা ৩২ ওভার ব্যাট করে। সুতরাং, ওভার প্রতি তারা সাড়ে চার রানেরও বেশি সংগ্রহ করে।
মায়াঙ্ক ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ বলে। শেষমেশ ১৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৪ বলে ১০৯ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন আগরওয়াল।
অপর ওপেনার সামর্থ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৮ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন। কর্ণাটক ওপেনিং জুটিতে ১৭২ রান তুলে ফেলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৫ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রান তুলেছে। দেবদূত পাডিক্কাল ১১ ও নিকিন জোস ১০ রানে ব্যাট করছেন। চিন্তন গাজা ও সিদ্ধার্থ দেশাই ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।