রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে মুম্বই এবং বিদর্ভ। প্রথম দিন থেকেই টান টান উত্তেজনার ম্যাচ প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলতে ব্যর্থ মুম্বই। রবিবার টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন বিদর্ভ। পৃথ্বী শ ৪৬ এবং শার্দুল ঠাকুর ৭৫ রান করেন। এছাড়া বড় রানের ইনিংস আর কাউকেই খেলতে দেখা যায়নি। ফলে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ২২৪ রানে। ফলে রঞ্জির ফাইনালের মতো মঞ্চে মুম্বইয়ের মতো দলের এমন অবস্থা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যায়। আর সেটাই স্বাভাবিক। করাণ রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সাফল্য যে দলের রয়েছে, সেটা হল মুম্বই।
যদিও মুম্বই যে খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেবে না তা অনেকেই ভেবে রেখেছিল। দ্বিতীয় দিন ঠিক সেটাই করে দেখালেন মুম্বইয়ের বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংই নয়, একই সঙ্গে বিদর্ভকে চাপে ফেলে দিলেন তারা। দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের আগেই বিদর্ভকে অলআউট করে দিল অজিঙ্কা রাহানের দল। মাত্র ১০৫ রানে শেষ হয় বিদর্ভের প্রথম ইনিংস। মুম্বইয়ের থেকে ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করল তারা।
বিদর্ভের ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। শুরু থেকেই ধাক্কা খেতে থাকে তারা। ওপেনার অথর্ব একাই লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু মুম্বইয়ের বোলারদের সামনে তিনিও বড় রান করতে পারেননি। মাত্র ২৩ রান করে ফিরে যান তিনি। পাশাপাশি বিদর্ভের টপ অর্ডার পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়। মুম্বইয়ের বোলারদের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বিদর্ভের ব্যাটিং লাইনআপ। এই দলের সর্বোচ্চ রান বলতে ২৭। যশ রাঠোর যিনি ২৭ রান করেন। আর এতেই স্পষ্ট হয়েছে, বিদর্ভের কোনও ব্যাটারই মুম্বইয়ে ধারালো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ফলে মাত্র ১০৫ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। বিদর্ভের এমন পরিস্থিতি দেখে অনেকেই কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ রঞ্জির ফাইনালের মতো মঞ্চে এমন পারফরম্যান্স যা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন হয়। তবে এটা ঠিক যে, মুম্বই যে ভাবে ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে বোলারদের সৌজন্যে কামব্যাক করল বলা চলে।
এদিন মুম্বইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ধাওয়াল কুলকার্নি, সামস মুলানি এবং তনুশ কোটিয়ান। এই তিন বোলারের দাপটেই শেষ হয়ে যায় বিদর্ভের ইনিংস। শুধু এই তিন বোলার নয়, ব্যাট হাতে বড় রান করার পাশাপাশি বল হাতেও দলকে ভরসা দিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। এদিন তিনি একটি মাত্র উইকেট নেন। তবে ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে মুম্বইয়ের কাছে অনেকটাই ব্যাকফুটে বিদর্ভ।