যেমন কথা, তেমন কাজ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কথা দিয়েছিলেন কোচকে। প্রথম সাক্ষাতেই বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নিয়ে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ইচ্ছাপূরণ করলেন মণিমরন সিদ্ধার্থ। মঙ্গলবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ছন্দে থাকা বিরাট কোহলিকে আউট করে লখনউয়ের বাঁ-হাতি স্পিনার আরসিবি শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন।
আইপিএলে এটিই এম সিদ্ধার্থের প্রথম মরশুম। লখনউ সুপার জায়ান্টসের জার্সিতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএল অভিষেক হয় তাঁর। যদিও কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল ম্যাচে উইকেটহীন থাকেন ২৫ বছর বয়সী বোলার। মঙ্গলবার আরসিবির বিরুদ্ধে তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামায় লখনউ। তিনি যে এভাবে ম্যাচে নিজের প্রভাব রাখবেন, ততটাও বোধহয় আশা করেননি লোকেশ রাহুলরা।
চিন্নাস্বামীতে লখনউয়ের হাতে খুব বড়সড় পুঁজি ছিল, এমনটা নয় মোটেও। বেঙ্গালুরুর মাঠে ১৮১ রান নিরাপদ নয় কখনই। তার উপর বিরাট কোহলি যেভাবে ইনিংস শুরু করেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছিল লখনউ শিবির। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে গতির হেরফের ঘটিয়ে বিরাটকে ফাঁদে ফেলেন সিদ্ধার্থ। আগে ব্যাট চালিয়ে বসায় ব্যাটের কানায় লেগে বল ভেসে যায় হাওয়ায়। ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি পাডিক্কাল। অর্থাৎ, চিন্নাস্বামীর গুহায় ঢুকে বিরাট নামক সিংহ শিকার করে কোচকে দেওয়া কথা রাখেন মণিমরন।
সিদ্ধার্থ শেষমেশ ৩ ওভারে ২১ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। আইপিএলে তাঁর প্রথম শিকার হন বিরাট কোহলি। সন্দেহ নেই নিজের প্রথম আইপিএল উইকেটের কথা কখনও ভুলবেন না মণিমরন।
ম্যাচের শেষে লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে তৃপ্ত দেখায় সিদ্ধার্থের পারফর্ম্যান্সে। তিনি আরও বেশি খুশি এই কারণে যে, তরুণ স্পিনার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেন প্রথম সুযোগেই। লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়, যেখানে জয়ের পরে সাজঘরে ল্যাঙ্গারকে কথা বলতে শোনা যায়।
লখনউ ক্রিকেটারদের সামনে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘ওর (সিদ্ধার্থের) সঙ্গে তার আগে পর্যন্ত কখনও কথা হয়নি। ওকে (নেটে) আর্ম বল করতে দেখি। সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করার পরে আমার মুখ থেকে প্রথম যে কথাটা বেরিয়েছিল, হে সিড, তুমি কি আমাদের জন্য বিরাট কোহলিকে আউট করতে পারবে? ও মাথা নেড়ে বলে, হ্যাঁ স্যার। বাস্তবে ও কী করল? কোহলিকে আউট করল।'
কোচের কথা শোনা মাত্রই সাজঘরে লখনউ ক্রিকেটাররা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। লাজুকে স্বভাবের সতীর্থ সিদ্ধার্থকে করতালিতে অভিনন্দ জানান সকলে।