ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সময় থেকেই সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করার রীতি চালু করে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের আসরে প্রতি ম্যাচের শেষে সেরা ফিল্ডারকে স্বীকৃতি জানানো হতো। বিশ্বকাপের পরে সেই রীতিতে একটু বদল আনে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার প্রতি সিরিজের শেষে দলের সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করা হয়।
সেই মতোই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের শেষে ধরমশালার সাজঘরে সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এবার সঙ্গে আরও একটু চমক যোগ করা হয়। এতদিন সাধারণত দুরন্ত ক্যাচ ধরা বা অনবদ্য রান-আউট করার জন্য ইমপ্যাক্ট ফিল্ডার মেডেলে স্বীকৃতি জানানো হতো ক্রিকেটারদের। এবার তার সঙ্গে যোগ করা হয় আরও একটি পদক।
সব ফিল্ডারদের সামনে ক্লোজ-ইন ক্যাচ ধরা বা মাঝমাঠ থেকে নিখুঁত থ্রোয়ে রান-আউট করার সুযোগ থাকে না। অথচ বাউন্ডারির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ রান বাঁচিয়ে দলকে সাহায্য করেন তাঁরাও। এমন ফিল্ডারদের স্বকৃতি জানাতেই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের মেডেল জেতেন যুগ্মভাবে দুই ভারতীয় তারকা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জেতেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। ধরমশালায় ভারতের সাজঘরে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। তিনিই গিল ও রোহিতের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
পরে নতুন সংযোজন হিসেবে রিলেন্টলেস অ্যাওয়ার্ড জেতেন কুলদীপ যাদব। তাঁর গলাতেও মেডেল পরিয়ে দেন বোর্ড সচিব। এই দু'টি ফিল্ডিং পুরস্কার ঘোষণার সময় ভারতের ফিল্ডিং কোচ এমন একজনের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানান, যিনি সেই মুহূর্তে জাতীয় দলের সাজঘরে ছিলেন না। রাজ্য দলের সঙ্গে রঞ্জির আসরে থাকা শ্রেয়স আইয়ার সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টে অনবদ্য ফিল্ডিং করেন। তাই শ্রেয়সের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি টি দিলীপ।
এছাড়া ফিল্ডিং কোচের প্রশংসা কুড়িয়ে নেন সরফরাজ খান ও ধ্রুব জুরেল। উল্লেখ্য, অভিষেক সিরিজে শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বরং কিপিংয়েও বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন জুরেল।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি ৬টি করে ক্যাচ ধরেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। রজত পতিদার ও জসপ্রীত বুমরাহ নেন ৪টি করে ক্যাচ। সরফরাজ খান ও যশস্বী জসওয়াল ৩টি করে ক্যাচ ধরেন। উইকেটকিপারের গ্লাভস হাতে ধ্রুব জুরেল ৫টি ক্যাচ ধরেন এবং ২টি স্টাম্প-আউট করেন।