অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে তেম্বা বাভুমা যেভাবে টিম ডেভিডের ক্যাচ ধরেন, তাকে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বলতেই হয়। বিশেষ করে পিছন দিকে দৌড়ে অত্যন্ত কঠিন ক্যাচটি ধরার ক্ষেত্রে যে রকম নিয়ন্ত্রণ দেখান বাভুমা, তা ফিল্ডার হিসেবে তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দেয়।
ডারবানে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার ট্র্যাভিস হেডের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তা সত্ত্বেও পালটা ঝড় তুলে মাত্র ৩.২ ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ৩টি উইকেট হারাতে হলেও অজিরা সংগ্রহ করে নেয় ৭০ রান।
ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে ৯২ রান করে নট-আউট থাকেন।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে টিম ডেভিড ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ডেভিডের ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেন বাভুমা। ১৫.২ ওভারে তাবরেজ শামসির বলে লং-অফে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন টিম ডেভিড। বাভুমা ক্যাচ ধরার জন্য সঠিক পরিস্থিতিতে ছিলেন না। তবে বলের উপর থেকে চোখ সরাননি তিনি। নিজের পিছন দিকে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে শেষমেশ বল তালুবন্দি করেন তেম্বা। ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় ডেভিডকে।
অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২২৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। মার্শ ও ডেভিডের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ১১ বলে ২০ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন ম্যাথু শর্ট। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ২৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন অ্যারন হার্ডি।
ট্র্যাভিস হেড ৬, জোশ ইংলিস ১, মার্কাস স্টইনিস ৬ ও শন অ্যাবট ৩ রানের যোগদান রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন লিজাড উইলিয়ামস। ১টি করে উইকেট দখল করেন মারকো জানসেন, জেরাল্ড কোয়াটজি ও তাবরেজ শামসি। উইকেট পাননি লুঙ্গি এনগিদি।