দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল-অর্ডারের তারকা সিনিয়র ব্যাটার ডেভিড মিলার কোনও রকম রাখঢাক না করে সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জের কথা স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সূর্য ৫৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এবং ভারতকে ১০৬ রানে জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন স্কাই।
সূর্যকুমার মাত্র ৫৫ বলে ১৭৮.৫৭ স্ট্রাইকরেটে সাতটি চার এবং আটটি ছক্কার হাত ধরে দুরন্ত শতরান হাঁকান। বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করে রোহিত শর্মা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় নিজের নাম লেখান। এই তিন ক্রিকেটারই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শতরান করে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।
আরও পড়ুন: সারাদিনে পড়ল ১৯ উইকেট, বাংলার দীপ্তির ম্যাজিকে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে
ম্যাচের পরে সংবাদিক সম্মেলনে ডেভিড মিলার বলেছেন, ‘ও একজন বিশেষ খেলোয়াড়, এবং এটি সত্যিই একটি ভালো নক (সূর্যের সেঞ্চুরি) ছিল। দল ভালো পারফর্ম করলেও, ক্রিজে থিতু হওয়ার পর বোলারদের কোনও সুযোগ দেয়নি সূর্য। আমি মনে করি, মাঠের চর্তুদিকে ওর শট মারার ক্ষমতা রয়েছে। ওর জন্য ফিল্ডিং সাজানোটা খুবই কঠিন কাজ।’
সূর্যকুমার যাদব প্রথমে ২৫ বলে ২৭ রান করেছিলেন, এর পর ৩১ বলে তিনি ৭৩ রান করেন। ১৩তম ওভার থেকে তিনি আক্রমণ শুরু করেছিলেন। তার পর শুধু চার, ছয়ের বন্যা। সূর্যের সেঞ্চুরির হাত ধরে ভারত ৭ উইকেটে ২০১ রান করেছিল। যে রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে যায়। কুলদীপ যাদব একাই ৫ উইকেট তুলে নেন।
দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে হতাশ মিলার বলেছেন, ‘আমরা এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারতাম। এটি এটা সত্যিই ভালো উইকেট ছিল। স্কোর ঠিকই ছিল। কিন্তু তার পর পরিস্থিতি বদলে গেল।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘উইকেট আর প্রথম ইনিংসের মতো ছিল না। যখন বল নীচু হয়ে আসছিল, তখন প্রতি ওভারে ১০ রান করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করা উচিত ছিল। যেটা আমরা করতে পারিনি।’
ম্যাচের পর এই সিরিজের জন্য ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আবার বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভয়হীন ক্রিকেট খেলার চেষ্টাটাই আমরা করছিলাম। আমি খুব খুশি যে, দলের প্রতিটি ক্রিকেটার সেই কাজটা নিখুঁত ভাবে করতে পেরেছে। কুবদীপ যাদব অবশ্য কখনও তিনটে কিংবা চারটি উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তবে ওর জন্য এটা একটা নিুখুঁত জন্মদিনের পুরস্কার।’