টিম ইন্ডিয়া এই বছরের শুরুর দিকে জুলাইয়ে শেষ বার টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিল। তার পর ফের তারা ডিসেম্বরের শেষে এসে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চলেছে। ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ভারত এর আগে কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি। প্রথম বার সিরিজ জয়ের হাতছানি তাদের সামনে।
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি, যাঁরা গত নভেম্বরে ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে বিশ্রামেই চিলেন। এই প্রথম তাঁরা আন্তর্জাতিক কোনও সিরিজে খেলতে চলেছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শোচনীয় হার ভুলে এখন নতুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন রোহিতরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে নতুন লক্ষ্যপূরণ করতে চায় রোহিতের ভারত।
এদিকে চোট-আঘাত পেরিয়ে বহু দিন পর টেস্ট দলে ফিরে আসা আর এক সিনিয়র সদস্য হলেন কেএল রাহুল। চোট সারিয়ে রাহুল এশিয়া কাপে দলে ফেরেন। ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেই সিরিজ ভারতকে জিতিয়েছেন। তবে রাহুল বহুদিন টেস্ট খেলেননি। জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও তিনি চোটের জন্য খেলতে পারেননি। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের আইপিএল চলাকালীন চোট পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজও মিস করেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের বড় শত্রুর সঙ্গে পরিচয় করালেন অশ্বিন, কী তাঁর পরিচয় জানেন?
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ফিরতে চলেছেন রাহুল। এবং তাঁকে টেস্টে টিমে একটি নতুন ভূমিকায় পাওয়া যাবে। ভারতীয় তারকা পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের সময়ে ওডিআই ফরম্যাটে উইকেটকিপিং করে সকলের নজর কেড়েছিলেন। এবার প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিশ্চিত করেছেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও রাহুলই উইকেটকিপিং করবেন। রবিবার অনুষ্ঠিত প্রাক-ম্যাচ সংবাদিক সম্মেলনে দ্রাবিড় বলে দেন যে, কেএল রাহুল দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে উইকেটকিপিং করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসীও। অর্থাৎ টেস্টে রাহুলের উইকেটকিপিংয়ে অভিষেক হতে চলেছে।
দ্রাবিড় বলেছেন, ‘এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এটা ওর জন্য ভিন্ন কিছু করার সুযোগ। ইশানকে পাওয়া যাবে না। আমাদের হাতে কয়েক জন উইকেটকিপার ছিল। রাহুল উইকেটকিপিং করার বিষয়ে খুব আত্মবিশ্বাসীও। আমরা জানি যে, ও দীর্ঘতম ফরম্যাটে সে ভাবে উইকেটকিপিং করেনি। তবে ও এটি পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে করেছে এবং এমন কী সেটা করা কঠিনও ছিল।’
দ্রাবিড় এর সঙ্গেই যোগ করেছেন, ‘গত পাঁচ-ছয় মাসে ও অনেক কিপিং করেছে। এখানে একটা জিনিস হল স্পিনের চেয়ে পেসাররা বেশি সুবিধা পাবে। যা ওর চ্যালেঞ্জটা কিছুটা হলেও সহজ করবে। ও টেস্টে কী রকম কিপিং করে, সেটা দেখা যাক। ওর মতো কাউকে পাওয়াটা ভালো, ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারবে, সঙ্গে কিপিংও করতে পারবে।’