বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে। এশিয়া কাপে হারের পর প্রকাশ্যে খবর এসেছিল দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে মতপার্থক্যের। বিশ্বকাপেও একই ঘটনার খবর উঠে এসেছে। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একটি বিবৃতির মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে এবং জানান সংবাদমাধ্যমে যে খবরটি ছড়িয়েছে তার সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। পাশাপাশি, বোর্ডের তরফে এটাও জানানো হয় যে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই এবং তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েই মাঠে নামবেন। এই বিতর্ক শেষ হতে না হতেই প্রকাশ্যে এলো আরও এক ঘটনা।
এবার পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলের কোনও ক্রিকেটারদের থেকে নয়। এবার বিতর্কের নেপথ্যে এক প্রাক্তন পাক তারকা এবং তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি একসময় বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের কাছে আতঙ্ক ছিলেন। এমনকী তাঁর বলের স্পিন খেলতে রীতিমতো হাবুডুবু খেত সেই সময়ের তাবড় তাবড় ব্যাটাররা। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন দানিশ কানেরিয়া।
প্রাক্তন পাক তারকা এবার একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থের বিরুদ্ধে। সেই প্রাক্তন সতীর্থ, সবার প্রিয় 'বুম বুম' অর্থাৎ শাহিদ আফ্রিদি। দানিশ কানেরিয়া রীতিমতো ধর্মের বিষয় একটি মন্তব্য করলেন শাহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে। কানেরিয়া জানান, আফ্রিদি একসময় তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য জোর করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'আমার ক্রিকেট কেরিয়ার খুবই ভালো যাচ্ছিল। আমি পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলাম। আমি ঠিক পথেই চলছিলাম আমাকে ইনজামাম উল হক ও শোয়েব আখতার খুব সমর্থনও সাহায্য করেছে। কিন্তু শাহিদ আফ্রিদি ও অন্যান্য কিছু খেলোয়াড়দের জন্য আমাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তারা আমার সঙ্গে একসাথে খেত না। এমনকী শাহিদ আফ্রিদি আমাকে বহুবার জোর করেছিল ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য। উনি চেয়েছিলেন আমি যাতে ইসলাম ধর্মে আসি। কিন্তু আমার ধর্মই আমার কাছে সবকিছু। সেই সময় আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইনজামাম উল হক।'
এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন পাক তারকা আরও জানান, 'আমি কোনও ভাবেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। হ্যাঁ, আমি একজন বুকির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। কিন্তু আমি কোনভাবেই যুক্ত ছিলাম না। আমাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রীতিমতো চাপ দেয় যাতে আমি সমস্ত দোষ স্বীকার করে ফেলি। আমি হিন্দু বলে ওরা আমার পাশে দাঁড়ায়নি। ওরা আমাকে ভয় পেতো কারণ ওরা জানতো যদি আমি খেলা চালিয়ে যাই, তাহলে ওদের সমস্ত রেকর্ড আমি ভেঙে দিতে পারবো।' এছাড়াও প্রাক্তন পাক তারকা জানান যে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে পাকিস্তান জিততে পারবেনা কারণ দল সিলেকশন করা হয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে, প্রতিভার ভিত্তিতে নয়।