একে তো পিচে পর্যাপ্ত ঘাস ছাড়া রয়েছে। তার উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। স্বাভাবিকভাবেই টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা সুপারস্পোর্ট পার্কে শুরুতে বল তুলে দেন কাগিসো রাবাদাদের হাতে। অনুকূল পরিবেশে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা ভারতের বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে বাইশগজে রীতিমতো আগুন ঝরান।
রাবাদা একের পর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান। ভারতীয় ব্যাটারদের গতি ও বাউন্সে রীতমতো সমস্যায় ফেলেন জেরাল্ড কোয়েটজি, নান্দ্রে বার্গাররাও। বিশেষ করে কোয়েটজি যেভাবে নিয়ন্ত্রিত বাউন্সারে বিব্রত করেন শার্দুল ঠাকুরকে, তার ফলেই কাগিসো রাবাদার পক্ষে শার্দুলের উইকেট তুলে নেওয়া সহজ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথম ইনিংসের ৩৪.৬ ওভারে রাবাদার বলে পরিবর্ত ফিল্ডার মাল্ডারের হাতে ধরা দিয়ে অশ্বিন সাজঘরে ফেরার পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শার্দুল ঠাকুর। ভারতের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১২১ রান। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে শার্দুল ভারতকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করান। বেশ কয়েকটি আত্মবিশ্বাসী শট খেলেন শার্দুল। তবে তাঁর আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে কোয়েটজির বাউন্সার হেলমেটে আঘাত করার পরে।
৪৩.৩ ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজির ১৪২ কিলোমিটারের বাউন্সার সোজা গিয়ে লাগে শার্দুল ঠাকুরের হেলমেটে। হেলমেট থাকা সত্ত্বেও শার্দুলের কপালের ডানদিক ফুলে যায়। ফিজিও মাঠে নেমে শুশ্রুষা করার পরে ফের ব্যাটিং শুরু করেন শার্দুল। যদিও আগের মতো বুক চিতিয়ে লড়াই করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
পরে ৪৬.১ ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে বাহুতে চোট পান শার্দুল। ফের ফিজিওকে মাঠে নামতে হয়। প্রোটিয়া পেসারদের আগ্রসনে পরপর শার্দুলের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগার পরেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ঠাকুর। ৪৬.২ ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে জোরালো শট খেলার চেষ্টায় এলগারের হাতে ধরা পড়েন শার্দুল ঠাকুর।
৩৩ বলে ২৪ রান করে মাঠ ছাড়েন শার্দুল। লড়াকু ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। ভারত দলগত ১৬৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটিতে দলের ইনিংসে ৪৩ রান যোগ করেন ঠাকুর। শার্দুলকে ফিরিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ৫ উইকেট পূর্ণ করেন কাগিসো রাবাদা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শর্দুল শুধু এই ইনিংসে রাবাদার পঞ্চম শিকারই নন, বরং তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাগিসোর ৫০০তম শিকার তিনি। অর্থাৎ, শার্দুলকে ফিরিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০তম উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন রাবাদা।