এশিয়া কাপের ইতিহাসে রেকর্ড তৈরি করল ভারত। সবচেয়ে কম রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে তারা। এই নিয়ে আটবার এশিয়া কাপ জেতার রেকর্ড এল তাদের ঝুলিতে। এর সঙ্গে সঙ্গে দল হিসেবে ২৬৩ বল বাকি থাকতেই ইনিংস জিতল রোহিতরা। রবিবাসরীয় দুপুরে সমর্থকরা ভেবেছিলেন একটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। শ্রীলঙ্কা টস জেতার পর সেই আভাসই পাওয়া যায়। কারণ এতদিনের টুর্নামেন্ট দেখে প্রত্যেককেই বুঝে গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করা এখানে বেশ কষ্টকর। তবে ক্রিকেট যে চরম অনিশ্চয়ন্তর খেলা ফের একবার প্রমাণ হল। ভারতীয় বোলারদের দাপটে বিশেষ করে মহম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দিশেহারা অবস্থা হল শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। খেলা ঠিকমতো শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেল। এই লজ্জাজনক ভাবে ফাইনাল ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড বলে গেলেন, তারা খুব হতাশ।
ম্যাচ শুরু হবার আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়। প্রত্যেকের মনে আশঙ্কা দেখা যায় ফের খেলা না ভেস্তে যায়। তবে তা হয়নি। শ্রীলঙ্কা নিজেদের ইনিংসের ৩ বলের মাথায় প্রথম উইকেট হারায়। প্রথম উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরাহ। এরপরেই লঙ্কা দহনে নেমে পড়েন সিরাজ। চার ওভারের মাথায় বল করতে এসে নিতে থাকেন একের পর এক উইকেট। তার বোলিংয়ের সামনে কোন উত্তর খুঁজে পায়নি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। একা নিয়ে যান ছয়টি উইকেট। এমনকী একটি ওভারেই তুলে নেন চারটি উইকেট। অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়াও কিছুটা চমক দেখান। তিনি তুলে নেন তিন উইকেট। ভারতীয় বোলারদের এই আক্রমণের ফলে ৫০ রানে গুটিয়ে যায় দানুস শানাটকারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে সবার সহ ওভার এক বলে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন শুভমন গিল ও ইশানরা। আজকে ভারত অধিনায়ক রোহিত ওপেন করতে আসেননি। এই লজ্জাজনক হারের পর শ্রীলঙ্কা প্রধান কোচ বলে যান, 'এই ম্যাচে আমরা যেভাবে পরপর বোনটা আউট হয়েছি তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আজকে আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম। সিরাজ ও বুমরাহ দারুন বল করেছে এমনকী বলের গতি অনেকটাই ছিল। তবে এর সঙ্গে আমাদের ব্যাটিং দুর্বলতাও অনেকটা পরিমানেই ছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই টুর্নামেন্টে অনেক তরুণ বোলারদের নিয়ে খেলছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভালো পারফরম্যান্সও করেছে। সাদিরা ও পাথিরানা তাদের মধ্যেই পড়ে। আমি মনে করি এই হারের পর্যালোচনা করার আগে রাতে আমরা ভালোভাবে ঘুমাতে চাই। আগামীকাল সকালে অন্যান্য কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।'