ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৫ রান করে আউট হন সুনীল নারিন। ফিল্ডিং করতে নেমে একটিও ক্যাচ ধরেননি। কোনও রান-আউটও করেননি। ২ ওভার বল করে একটিও উইকেট পাননি তিনি। তবু ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন নারিন। শুক্রবার আবু ধাবি টি-১০ লিগে ঠিক এমন ছবিই দেখা যায়।
আসলে নারিন ২ ওভারে মোটে ১১ রান খরচ করেন। ১২টি বল করে মোটে ১টি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। ১০ ওভারের ক্রিকেটে এমন কৃপণ বোলিং নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। তাঁর এমন আঁটোসাটো বোলিংয়ের জন্যই নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৮৮ রানে আকটে যায়। রান তাড়া করতে নেমে জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের।
শুক্রবার জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবু ধাবি টি-১০ লিগের নবম ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স। তারা জয়ের জন্য নিউ ইয়র্কের সামনে ৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয়। কলিন মুনরো দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৪ রান করেন। ২৭ বলের অপরাজিত ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ১৭ রানের ধীর ইনিংস খেলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ১০ রান করেন জেমস নিশাম। কেনার লুইস ৪ ও ক্যাপ্টেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ অপরাজিত ২ রানের যোগদান রাখেন। নারিনের কৃপণ বোলিং ছাড়া নিউ ইয়র্কের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন, মহম্মদ জাওয়াদউল্লাহ ও জর্জ স্ক্রিমশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ৯.১ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ২৩ রান করেন মহম্মদ ওয়াসিম। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২২ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
এছাড়া কুশল পেরেরা ৮, আসিফ আলি ৫, ওডিন স্মিথ ১, চামিকা করুণারত্নে ১, আকিল হোসেন ৮ ও ক্যাপ্টেন কায়রন পোলার্ড ৫ রান করেন। ওয়ারিয়র্সের তাবজের শামসি নারিনের মতোই ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করেন। সঙ্গে ২টি উইকেটও তুলে নেন তিনি। তবে শামসির দল ম্যাচ হারায় কার্যত ফাঁকতালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন নারিন।
ভারতের অভিমন্যু মিঠুন ২ ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন। ২১ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন নিশাম।