শুভব্রত মুখার্জি: ১৭ তম আইপিএলের আসর শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরেই শুরু হবে আইসিসি আয়োজিত টি-২০ বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজন করবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে। প্রসঙ্গত ২০১০ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের পরবর্তীতে এটাই প্রথমবার যখন বিশ্বকাপের আসর বসছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। বরাবর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ভেন্যুর উইকেট কিছুটা হলেও মন্থর গতির। যা গত ওডিআই বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছিল। পিচের সেই মন্থর গতির সঙ্গে মানাতে না পেরেই ভারতীয় দলকে সেবার অপ্রত্যাশিতভাবেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
এমন আবহেই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের উইকেট মন্থর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর মতে এই মুহূর্তে ভারতে আইপিএলের যে পিচগুলোতে খেলা হচ্ছে তার থেকে ক্যারিবিয়ানে পিচ অনেকটাই স্লো হবে। ফলে ইনিংস ধরে খেলা ব্যাটারদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আইপিএলে এই মুহূর্তে গোটা ক্রিকেট বিশ্বের সমস্ত তারকা ক্রিকেটাররা খেলছেন। ডেভিড ওয়ার্নারও খেলছেন নিয়মিতভাবে।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: খোলা মাঠে সকলের সামনে রোহিত শর্মাকে চুমু খেতে গেলেন শেন বন্ড! কী হল তারপর?
ডেভিড ওয়ার্নার এই মুহূর্তে খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে। আইপিএলে এই মুহূর্তে যতগুলো পিচে খেলা হয়েছে কার্যত পাটা উইকেট বলা চলে। উঠেছে প্রচুর রান। তবে ইনিংস ধরে খেলা ব্যাটারদের গুরুত্ব সেইভাবে কোন ম্যাচেই বোঝা যায়নি। সেখানে দাঁড়িয়ে ক্যারিবিয়ানে টি-২০ বিশ্বকাপের উইকেট যে স্লো হবে তা আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন এই ধরনের ক্যারিবিয়ান উইকেটে বল অল্প হলেও স্পিন করবে এবং উইকেটে থেমে থেমে আসবে।
ভারতের কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি দুজনেই ইনিংস ধরে খেলে ইনিংস তৈরি করেন। এই ধরনের ক্রিকেটারদের গুরুত্ব আগামী টি-২০ বিশ্বকাপে বাড়বে বলেই মত ওয়ার্নারের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়ার্নার জানান, ‘ওখানকার (ওয়েস্ট ইন্ডিজের) উইকেট কিছুটা স্লো হবে। অল্পবিস্তর বল স্পিনও করবে। আমার মনে হয় না এখানকার উইকেটের মতন ওখানকার উইকেটগুলো দৃঢ় হবে,পাটা হবে। আমি ওখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। আমি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ সিপিএলে নিয়মিত খেলেছি। সাধারণত এখানকার উইকেটে বল স্লো আসার পাশাপাশি নীচুও হয়ে যায়। আর এর ফলে একজন অ্যাঙ্কর অর্থাৎ ইনিংস ধরে খেলার লোকের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেমন এখানে শেষ বিশ্বকাপে এই কাজটা করেছে আমাদের হয়ে মাইক হাসি। ইনিংস ধরে রাখার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রানও করেছেন দলের হয়ে। আইপিএলে যে ধরনের পিচে এখন আমরা খেলছি টি-২০ বিশ্বকাপে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা উইকেট থাকবে। তবে বল যে সুইং হবে না তা বলাই যায়। কারণ ক্যারিবিয়ানে পিচ গুলো অনেক বেশি শুকনো।’