এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে নিউজিল্যান্ড দল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরাজিত করার পর, এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও চালকের আসনে রয়েছে তারা। ব্যাটিং হোক কি বোলিং দুই বিভাগ থেকে আসছে ভালো পারফরম্যান্স। সব মিলিয়ে, একটা দারুণ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কিউয়ি বাহিনীরা। যদিও মাঝে কিছু ক্রিকেটারে চোট নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠেও জয় পেতে সফল হয়েছে তারা।
এবার নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে প্যাট কামিন্স ও তাঁর বাহিনীর। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে গত ওডিআই বিশ্বকাপের জয়ী দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি খেলা হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। একদিকে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাবুডুবু খাওয়াচ্ছে নিউজিল্যান্ড, তেমনি অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও দমিয়ে রাখতে সফল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলই এই মুহূর্তে তুলে ধরেছে একটি বিধ্বংসী ক্রিকেটের উদাহরণ। সুতরাং সিরিজ যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, তা কার্যত স্পষ্ট।
তবে আসন্ন এই সিরিজের আগে একটি বিশাল স্বস্তি পেল কিউই বাহিনী। দলে ডাক পরলো তারকা পেস বোলার ট্রেন্ট বোল্টের। দীর্ঘ ১৫ মাস পর ফের তিনি জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি শিবিরে জায়গা পেলেন। গত বিশ্বকাপে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরেই এই পুরস্কার তিনি পেয়েছেন বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যদিও তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। অন্যদিকে এই সিরিজে খেলতে পারবেন না স্বয়ং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন নিজেই। এছাড়া দলে থাকবেন না ডারিল মিচেল। অন্যদিকে, টিম সাউদিও প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলিতে খেলবেন না। নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিচেল স্যান্টনারকে। এই সিরিজে অভিষেক হতে পারে তরুণ অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসনের।
সিরিজ শুরুর আগে বহু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে চাপে পড়তে পারে নিউজিল্যান্ড। যদিও একাংশের মত যে তরুণ ক্রিকেটাররা যেই ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাতে রীতিমতো ভালো লড়াই দিতে পারবে অস্ট্রেলিয়াকে। এবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করে। অস্ট্রেলিয়া নাকি নিউজিল্যান্ড? জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।