ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে বিশাল ব্যবধানে জয় পেল ত্রিবাগো নাইট রাইডার্স। বার্বাডোস রয়্যালসকে ১৩৩ হারাল কাইরন পোলার্ডের দল। তবে এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শতরান করেন মার্টিন গাপ্তিল। আর তাতেই বড় রানে পৌঁছে যায় নাইট রাইডার্স। ফলে বার্বাডোস আর সেই রান তাড়া করতে পারেনি। মাত্র ৬১ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। তবে অবশ্যই বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ওয়াকার সালামখেইল এবং আন্দ্রে রাসেল।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোস। নাইটদের হয়ে ওপেন করতে নামেন গাপ্তিল এবং মার্ক। যদিও এদিন ম্যাচের পুরো ব্যাটনই ছিল গাপ্তিলের হাতে। কারণ শুরু থেকেই তিনি চালিয়ে খেলতে থাকেন। বিপক্ষের বোলারদের কোনও কিছু তোয়াক্কা করেননি তিনি। মাঠের বাইরে বল পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি এই কিউয়ি ব্যাটার। দাপটের সঙ্গে ব্যাটিংকে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেও বড় রান করেন।
যদিও গাপ্তিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামা মার্ক ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সঙ্গে মাত্র ২৭ রান করে যান। নিকোলাস পুরানও এদিন রান পাননি। মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান তিনি। তবে অধিনায়ক পোলার্ডও বড় রান করেন। গাপ্তিলকে যোগ্য সঙ্গ দেন নাইট অধিনায়ক। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে নাইটরা। শতরান করেন গাপ্তিল। মাত্র ১টি বাউন্ডারি সংগ্রহ করেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৯টি ওভার বাউন্ডারি। মাঠের বাইরে বল পাঠাতে দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। মাত্র ৫৮ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন গাপ্তিল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট বজায় রাখেন তিনি।
এছাড়া নাইট অধিনায়ক এদিন ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। পোলার্ডের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এর থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে, এদিন কেউ বাউন্ডারির দিকে ঝাপাননি। বরং তারা ছক্কা টার্গেট করে এগিয়ে গিয়েছেন। আর তাতেই নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে ত্রিবাগো নাইট রাইডার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বার্বাডোস রয়্যালস। মাত্র ৫ রানে তিন উইকেট পড়ে যায় তাদের। ফলে ম্যাচ থেকে তখনই তারা হারিয়ে যায়। বার্বাডোসের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন জেসন হোল্ডার। ১৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি। হোল্ডারের রান দেখেই স্পষ্ট হয়েছে গোটা দল কেমন রান করেছে। মাত্র ৬১ রানে শেষ হয়ে যায় বার্বাডোসের ইনিংস। তিন উইকেট নেন রাসেল এবং চার উইকেট নেন ওয়াকার। ম্য়াচের সেরা হয়েছেন গাপ্তিল।