ক্রিজে মাত্র ১১ বল স্থায়ী হন ইউসুফ পাঠান। প্রবল শক্তিশালী টর্নেডোর মতো কয়েক মুহূর্তের দমকা হাওয়ায় তছনছ করেন প্রতিপক্ষ দলের সাজানো বাগান। ধ্বংসাত্মক ইনিংসে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন সিনিয়র পাঠান। চলতি ইউএস টি-১০ মাস্টার্সে ফের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলেন ইউসুফ। এবার আর নিউ জার্সিকে জয়ের জন্য বিশেষ ভাবতে হয়নি।
সোমবার লডারহিলে ক্যালিফোর্নিয়া নাইটসের মুখোমুখি হয় নিউ জার্সি ট্রাইটনস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ক্যালিফোর্নিয়া বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় নিউ জার্সির সামনে। ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করে অ্যারন ফিঞ্চ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফিঞ্চের মারকাটারি ইনিংসের যথাযোগ্য জবাব দেন ইউসুফ পাঠান।
ক্যালিফোর্নিয়া নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফিঞ্চ। তিনি শেষমেশ ৩টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৭৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। মাঝে ক্রিস বার্নওয়েলের এক ওভারে পরপর ৫টি ছক্কা মারেন ফিঞ্চ। প্রথম ইনিংসের অষ্টম ওভারে এমন ধ্বংসলীলা চালান অ্যারন। সেই ওভারে সাকুল্যে ৩২ রান ওঠে।
আরও পড়ুন:- Maharaja Trophy: হার্দিকের রাজ মহারাজা ট্রফিতে, ‘১২ ওভারেই’ প্রতিপক্ষকে ওড়াল গুলবার্গা
জ্যাক কালিস ১৩ বলে ৭ রানের ধীর ইনিংস খেলা সাজঘরে ফেরেন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রান-আউট হন মিলিন্দ কুমার। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের একেবারে শেষ মুহূর্তে আউট হন ইরফান পাঠান।
নিউ জার্সির হয়ে কৃপণ বোলিং করেন আরপি সিং। তিনি কোনও উইকেট না পেলেও ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন পিটার ট্রেগো ও ক্রিস বার্নওয়েল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউ জার্সি ৯.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১১৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ইউসুফ ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ৩৫ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে কৃষমার স্যান্টকির বলে ৪টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। সেই ওভারের ৬টি বলে যথাক্রমে ৬, ৬, ৬, ৪, ৬ ও ১ রান ওঠে। অর্থাৎ অষ্টম ওভার থেকে ইউসুফ পাঠান ২৯ রান সংগ্রহ করেন।
এছাড়া জেসি রাইডার ২০, নমন ওঝা ২৫, অ্যালবি মর্কেল ৮, ক্রিস বার্নওয়েল ১২ ও পিটার ট্রেগো ১১ রানের যোগদান রাখেন। ১টি করে উইকেট নেন ক্যালিফোর্নিয়ার পিটার সিডল, অ্যাশলে নার্স ও সুলেমান বেন। ম্যাচের সেরা হন ইউসুফ পাঠান।