বুধবার রাতে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩২তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গুজরাট টাইটান্স। দিল্লির বোলারদের দাপুটে মেজাজের সামনে, শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন দল মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে যায়। ক্যাপিটালসের হয়ে মুকেশ কুমার ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। ইশান্ত শর্মা এবং ত্রিস্তান স্টাবস ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন খালিল আহমেদ এবং অক্ষর প্যাটেল।
রশিদ খানই একমাত্র জিটি ব্যাটার, যিনি ২৪ বলে ৩১ রান করেন। সাই সুদর্শন (১২) এবং রাহুল তেওয়াটিয়া (১০) তাও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছিলেন। বাকিরা তো এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন। যার নিট ফল, আইপিএলের সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় ২৮তম স্থানে জায়গা পেয়েছে টাইটান্সের ৮৯ রান। যাইহোক, প্রথম দশে থাকার লজ্জায় পড়তে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন: বেগুনি টুপির তালিকায় বড় লাফ খালিলের, অরেঞ্জ ক্যাপের লড়াইয়ে উত্থান হল শুভমনের
আইপিএলে প্রথম দশটি সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকা:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৪৯ রান করেছিল।
রাজস্থান রয়্যালস- ২০০৯ সালে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৫৮ রান করেছিল।
রাজস্থান রয়্যালস- ২০২৩ সালে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৫৯ রান করেছিল।
দিল্লি ক্যাপিটালস- ২০১৭ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬৬ রান করেছিল।
দিল্লি ক্যাপিটালস- ২০১৭ সালে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬৭ রান করেছিল।
কলকাতা নাইট রাইডার্স- ২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬৭ রান করেছিল।
আরও পড়ুন: পাগল নাকি? মুকেশের উপর বেজায় চটলেন কুলদীপ, পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসতে হল পন্তকে- ভিডিয়ো
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ২০২২ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৬৮ রান করেছিল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ২০১৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৭০ রান করেছিল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ২০১৪ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৭০ রান করেছিল।
পঞ্জাব কিংস- ২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে ৭৩ রান করেছিল।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
এদিন নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সুবিধে কাজেই লাগাতে পারেননি শুভমন গিলরা। শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় গুজরাট। ২০২৪ আইপিএলে এটিই সর্বনিম্ন স্কোর। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান (২৪ বলে) করেন রশিদ খান। ১২ করেন সাই সুদর্শন। ১০ করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন।
তবে জয়ের জন্য ৯০ রান তুলতে নেমে শুরুতে বিপাকে পড়েছিল দিল্লিও। মাত্র ৯০ করতে গিয়ে ৪ উইকেট তারা হারিয়ে বসে। শেষ পর্যন্ত ৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন ঋষভ পন্তরা। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সর্বোচ্চ ২০ রান (১০ বলে) করেছেন। এছাড়া ১৫ করেছেন অভিশষেক পোড়েল। ১৯ করেছেন শাই হোপ। অপরাজিত ১৬ করেন ঋষভ পন্ত। ৯ করে পন্তের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন সুমিত কুমার।