ঐশ্বর্য রাই নিয়ে নোংরা মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইলেন আবদুল রাজ্জাক। ভিডিয়ো বার্তায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার দাবি করলেন যে মুখ ফসকে তিনি বলিউড অভিনেত্রীর নাম দিয়ে উদাহরণ দিয়েছিলেন। সেজন্য ঐশ্বর্যের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। আর তাঁর কথা শুনে হেসে লুটিয়ে পড়া শাহিদ আফ্রিদি নাকি দাবি করেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি যে রাজ্জাক ঠিক কী বলছেন। তিনি যদি বুঝতে পারতেন যে রাজ্জাক কী বলেছেন, তাহলে তখনই প্রতিবাদ করতেন এবং সেই মন্তব্যের নিন্দা করতেন। যদিও নেটিজেনদের পালটা প্রশ্ন, যে ব্যক্তি কথা বুঝতে পারলেন না, তিনি ওরকম হেসে গড়িয়ে পড়েন কীভাবে?
নেটপাড়ার একাংশের সেই প্রশ্নের মধ্যেই নিজেকে নিরীহ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন রাজ্জাক। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি হলাম আবদুল রাজ্জাক। কাল (সোমবার) সাংবাদিক বৈঠকে ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছিল। কোচিং নিয়ে কথা হচ্ছিল। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা হচ্ছিল। সেইসময় আমি মুখ ফুসকে বলে ফেলি (ঐশ্বর্যের কথা)। অন্য কিছু উদাহরণ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুখ থেকে ঐশ্বর্যজি'র নাম বেরিয়ে গিয়েছিল। তাঁর কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। আমার সেটা উদ্দেশ্য ছিল না। অন্য কোনও উদাহরণ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মুখ ফসকে ওই কথা বলে ফেলি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
রাজ্জাক ঠিক কী বলেছিলেন?
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলার সময় রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘আমি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বলছি। আমাদের যে অধিনায়ক ছিল ইউনিস খান, তার উদ্দেশ্য অত্যন্ত ভালো ছিল। সেটা থেকেই আমি নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলাম। (আমি ভেবেছিলাম যে) ওর উদ্দেশ্য ভালো, ও চায় যে আমি ভালো খেলি। আমার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছিল আর ঈশ্বরের কৃপায় আমি পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলাম।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আরও বলেছিলেন, 'পাকিস্তান দল এবং খেলোয়াড়দের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আসল কথাটা হল, আমাদের এরকম লক্ষ্যই নেই যে কোনও জিনিসকে কীভাবে আরও ক্ষুরধার করে তোলা যায়, খেলোয়াড়দের তৈরি করা যায়। যদি আপনার ভাবনাচিন্তা এরকম যে আমি ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করব এবং ভালো বাচ্চার জন্ম হবে, সেটা কখনও হবে না। তো প্রথমে নিজের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে।’
সেই মন্তব্যের জন্যই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন রাজ্জাক। নেটিজেনরা তো বটেই; রাজ্জাকের সেই মন্তব্যের পর নিন্দা করেন শোয়েব আখতার, ওয়াকার ইউনিস, মহম্মদ ইউসুফের মতো পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। বিশেষত আফ্রিদি ও উমর গুলেরও নিন্দা করেন শোয়েব। কারণ রাজ্জাক যখন ওই নোংরামো মন্তব্য করেন, তখন হেসে গড়িয়ে পড়েছিলেন আফ্রিদি। আর হাততালি দিচ্ছিলেন গুল।
পরে অবশ্য শোয়েব জানান, আফ্রিদি দাবি করেছেন যে তিনি বুঝতেই পারেননি যে রাজ্জাক ওরকম কোনও মন্তব্য করেছেন। শোয়েবের কথায়, ‘এইমাত্র শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে আমার কথা বল। ও আমায় ফোন করেছিল এবং বলল যে ও সত্যি-সত্যি বোঝেনি যে রাজ্জাক কী বলেছে। সেটা বুঝতে পারলে ও (শাহিদ) তখনই নিন্দা করত। ও টিভিতেও রাজ্জাকের মন্তব্যের নিন্দা করেছে এবং আমায় ফোনেও পুরো বিষয়টা স্পষ্ট করে বলেছে।’