বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের যন্ত্রণা কমেনি। এর মাঝেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গে পরবর্তী চার বছরের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি, রোহিতের সাদা বলের ভবিষ্যত সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনার জন্যই এই সভা ডাকা হতে চলেছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য একজন অধিনায়ক তৈরি করার বিষয়েও নাকি আলোচনা হবে।
সূত্রের মতে, রোহিত ইতিমধ্যেই নির্বাচকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে বিবেচনা না করার জন্য, তাঁর কোনও সমস্যা নেই। আর নির্বাচকেরাও টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের সুযোগ দিতে আগ্রহী। তবে রোহিত তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময়ে রোহিতের বয়স প্রায় ৪০ হবে। পরবর্তী বড় ওডিআই টুর্নামেন্টটি হবে ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যা পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বাকি আগামী এক বছরে ভারতের মাত্র ছ'টি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলেছেন, ‘ওডিআই বিশ্বকাপের আগে রোহিত জানিয়েছিলেন যে, টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে দলে না রাখার জন্য তিনি বরং ভালো আছেন। নির্বাচকেরা গত এক বছর ধরে টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করছেন। পরের বছর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তরুণদের খেলানোর স্ট্র্যাটেজি থেকে তাঁরা সরবেন না।’
দুই টেস্টের সিরিজের আগে ভারত আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি ওডিআই খেলতে চলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য ওয়ানডে একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, বোর্ড এবং নির্বাচক কমিটি মিলে পরবর্তী আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই ওয়ানডে-র পরিকল্পনা করবে। আর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক তৈরি করা।
আরও পড়ুন: ভুল অ্যাডাম জাম্পাকে ট্রোল করে হাসির খোরাক হলেন ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা
সূত্রটি দাবি করেছে, ‘এখনও পর্যন্ত, মনে হচ্ছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী চক্রের জন্য রোহিত টেস্ট ফর্ম্যাটে পুরো ফোকাস করবেন। দীর্ঘ ফর্ম্যাটের জন্য একজন অধিনায়ককে তৈরি করা এজেন্ডার একটি মূল বিষয় হবে। হার্দিক পান্ডিয়া চোটপ্রবণ হওয়ায় নির্বাচকেরা ওয়ানডেতে বিকল্প খুঁজতে পারেন।’ নির্বাচক কমিটি স্পষ্ট করেছে যে, তারা ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চায় এবং খেলোয়াড়দের একটি পুল তৈরি করতে চায়। এই কারণেই তারা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য যুজবেন্দ্র চাহাল এবং সঞ্জু স্যামসনকে উপেক্ষা করেছে।
নির্বাচকরা অজিঙ্কা রাহানেকে ধরে রাখতেও আগ্রহী নন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে রাহানেকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে তিনি নিরাশ করেছেন। সূত্রটি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিটি খুব স্পষ্ট যে, তারা এমন খেলোয়াড়দের তৈরি করতে চায়, যাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য একসঙ্গে খেলানো যাবে। শ্রেয়স আইয়ার টেস্ট দলে ফিরেছেন। এবং শুভমান গিল ওপেন করছেন। তিনে রাহানের জন্য সুযোগ কম। কেএল রাহুলকেও টেস্ট ম্যাচের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ তিনি ব্যাকআপ উইকেটকিপিং বিকল্প হতে পারেন।’