শুভব্রত মুখার্জি: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর।প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের বদলা প্রথম ম্যাচেই নিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড বাহিনী। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একেবারে একপেশে জয় পেয়েছে তারা। ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারেননি তাদের প্রথম সারির তিন ক্রিকেটার। ছিলেন না টিম সাউদি, কেন উইলিয়ামসন এবং লকি ফার্গুসন।তার পরেও বিরাট ব্যবধানে জয় পাওয়াটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় কৃতিত্বের। নিউজিল্যান্ডের এই জয় সম্ভব হয়েছে মূলত তাদের দুই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপের কারণেই। আর এই ম্যাচে দলকে জয় এনে দেওয়ার পথে এক অনন্য নজির ও গড়ে ফেলেছেন রাচিন রবীন্দ্র।
ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম শতরান করার নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বকাপের ইতিহাসে নবীনতম ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই শতরানকারীদের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই ব্যাটার এদিন যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করেছেন তা ছিল দেখার মতন। প্রসঙ্গত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় রাচিন রবীন্দ্রর। আর প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করার নজির গড়েছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে দেখে মনেই হয়নি যে তিনি তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলছেন। এতটাই আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তাঁকে। আর সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে তাঁর ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৮২ বলে এদিন শতরান করে এই নজির গড়লেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাফসেঞ্চুরি করেই গেঞ্জি তুলে এটা কেমন সেলিব্রেশন! আসল কারণ জানালেন তিলক- ভিডিয়ো
বিশ্বকাপের ইতিহাসে অভিষেকেই নবীনতম ক্রিকেটার হিসাবে শতরান করার নজির রয়েছে ভারতের বিরাট কোহলির। তিনি মাত্র ২২ বছর ১০৬ দিন বয়সে ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন। ২৩ বছর ৩০১ দিনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯৯২ বিশ্বকাপে শতরান করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছেন রাচিন। তিনি আমদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩ বছর ৩২১ দিন বয়সে করলেন শতরান।তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আর এক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার নাথান অ্যাসেল।১৯৯৬ সালে আমদাবাদেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪ বছর ১৫২ দিন বয়সে শতরান করেছিলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বছর ২৫০ দিন বয়সে শতরান করে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ডেভিড মিলার।
এদিন মাত্র ৯৬ বল খেলেছেন রাচিন। ১২৩ রান করে থেকেছেন অপরাজিত। তাঁর ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৫টি বিরাট বিরাট ছক্কা। পাশাপাশি মেরেছেন ১১ টি চারও। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে অবিচ্ছেদ্য ২৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় জয় এনে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওডিআই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে যে কোনও উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ারও নজির গড়েছেন তিনি এবং কনওয়ে। এদিন ডেভন কনওয়েও ১৫২ রানের একটি অপরাজিত অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছেন। মাত্র ১২১ বলে এই রান করেছেন তিনি। আর এর ফলেই ম্যাচে ৮২ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড দল।