সালটা ছিল ২০২০, দিনটা ৩০ এপ্রিল। সেদিনই সকলকে কাঁদিয়ে চিরকালের মতো বিদায় নিয়েছিলেন অভিনেতা ঋষি কাপুর। তারপর আজ আরও একটা ৩০ এপ্রিল (২০২৪) দেখতে দেখতে ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর ৪ বছর পার হয়েছে। মৃত্যু বার্ষিকীতে বাবাকে নিয়ে মুখ খুললেন মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি।
ঋদ্ধিমা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, যে ৪ বছর হয়ে গেল। আমি ফ্যাবুলাস লাইভস উইথ বলিউড ওয়াইভস-দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছি আর বাবা আমার কেরিয়ারে এই বড় পদক্ষেপটাই দেখে যেতে পারলেন না।’
ঋদ্ধিমা বলেন, ‘আমার পর্দায় অভিষেক হল, বাবা থাকলে অনেক বেশি সাপোর্ট করতেন। আমি ওঁকে অনেক কিছু জিগ্গেস করতে পারতাম, কারণ আমি তো ক্যামেরার সামনে এই প্রথমবার।’ ঋদ্ধিমা আরও বলেন, ‘অবশ্যই মা (নীতু কাপুর) আমাকে সবসময় সাহায্য করার জন্য রয়েছেন। আমার কিছু জিগ্গেস করার থাকলে মা আমায় সেগুলি বলে দেন। তবে আমি সত্যিই চেয়েছিলাম যে বাবা পাশে থাকুক।’
ঋষি কাপুরের কথা বলতে গিয়ে ঋদ্ধিমা আরও বলেন, ‘নাতনির পাশে থাকলে বাবা খুবই খুশি হতেন। বিশেষ করে বাবা রাহাকে (রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের মেয়ে) দেখলে খুবই খুশি হতেন। ও খুবই মিষ্টি একটা মেয়। আমার মেয়ে সামারাও ওর খুব কাছের। ওদের খুব বন্ধুত্ব। আমরা প্রতিদিনই বাবার অভাব বোধ করি। তবে তিনি শারীরিকভাবে না থাকলেও আমাদের মধ্যেই আছেন।’
আরও পড়ুন-'ও কী করে! ও বিবাহিত? সন্তানও আছে নাকি!' কিছুই না জেনে রাঘবকে বিয়ের সিদ্ধান্ত পরিণীতির
বাবা-মা ঋষি এবং নীতু কাপুর দুজনেই বলিউডের একসময়ের নামী তারকা। তাঁদের দুজনেরই একটা গৌরবময়, উজ্জ্বল কেরিয়ার ছিল। ঋদ্ধিমা জানান, তিনি এবং রণবীর দুজনেই বাবা-মায়ের শেখানো মূল্যবোধ নিয়েই বড় হয়েছেন। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘বাবা সবসময় আমাদের বলতেন যে কেউ বড় কিংবা ছোট হয় না। (কোই বড়া ছোটা নেহি হোতা হ্যায়)। সবার সঙ্গে একই আচরণ করতে হয়। আপনি সম্মান দিল, তবে সম্মান পাবেন। এটাই আমি ও রণবীর দুজনেই বাবার কাছ থেকে শিখেছি।'
ঋদ্ধিমা বলেন, ‘আমার বাবা খুবই সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন। ওঁর যা মনে আসত, উনি সেটা বলে দিতেন। দ্বিতীয়বার ভাবতেন না। এটা এমন একটা বিষয় যা আমি ওঁর কাছ থেকে শিখেছি। যে আদপে তুমি যেমন সেটাই দেখাবে। মনে কোনও জটিলতা রেখো না। কাউকে আঘাত করো না। যা কিছু করছেন তাতে সৎ থাকুন। এই বিষয়গুলিই বাবা-মা আমাদের শিখিয়েছেন। যে সততা থাকতে হবে, দুই চরিত্রের মানুষ হয়ো না।'
ঋদ্ধিমার কথায়, ‘আমি কখনও অভিনয় করিনি। আমিও দেখতে চাই দর্শক আমায় কীভাবে গ্রহণ করেন।’