এবারের বিশ্বকাপে বেশ চাপেই রয়েছে পাকিস্তান দল। পরপর ম্যাচ হেরে শেষ চারে যাওয়ার লড়াই বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে বাবর আজমদের কাছে। তবে গত ম্যাচে অর্থাৎ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফের জয়ের মুখ দেখেছে পাকরা। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে শেষ চারের আশা তারা টিকিয়ে রেখেছে। যদিও অনেক জটিলতা রয়েছে। শেষ কয়েকটি ম্যাচ জিতলেই হবে না, সেই সঙ্গে বড় রান এবং অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাবর আজমদের।
তবে বাংলাদেশ ম্যাচে টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। ইমাম-উল-হককে বসিয়ে নিয়ে আসা হয় ফখর জামানকে। সুযোগ পেয়েই এই পাক ওপেনার ৭৪ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও আরও এক ওপেনার আব্দুল্লাহ ৬৯ বলে ৬৮ রান করেন ৯টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
শেষ চারে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত বাবর আজমদের। অবশেষে জয়ের মুখ দেখতে পেল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে রইল তারা। তবে এই ম্যাচে দলে পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না পাক টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। পরপর ম্যাচে ব্যর্থতার মুখে পড়েছেন ওপেনার ইমামন-উল-হক। সেই ভাবে রান করতে পারছিলেন না। দলের পরিবর্তন অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল বলা চলে। এদিন ওপেন করতে নেমে ফখর ৭টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। বাংলাদেশের বোলারদের কার্যত ল্যাজে গোবরে করে দেন তিনি।
তবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, এদিন ফখর এক ম্যাচে যতগুলি ছক্কা মেরেছেন, যা এই বছরে এখনও পর্যন্ত ইমাম-উল-হক তাও মারতে পারেননি। ফলে পাক দলের ব্যাটিং অর্ডারে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তা অবশেষে কাটল বলা চলে। তবে আগামী বেশ কয়েকটি ম্যাচ যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনও পর্যন্ত এই বছরে ১৭টি ওডিআই ইনিংস খেলেছেন ইমাম। তার মধ্য়ে তিনি ৬টি ছক্কা মারতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ফখর একাই এদিন মারলেন ৭টি ছক্কা। সেই সঙ্গে দলকে অনেকটাই স্বস্তিও দিয়েছেন। পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার ৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।