বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো করলেও, ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর থেকে ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত পাকিস্তানের। টানা তিনটি ম্যাচে হারের পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাবর আজমদের। আফগানিস্তানের কাছে অঘটনের পরাজয়ের পর বাবর আজম স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, এই হার তাদের কষ্ট দিয়েছে। এর মাঝেই প্রাক্তন পাকিস্তান ব্যাটার মহম্মদ ইউসুফ পাক ড্রেসিংরুমের অন্দরের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অবিশ্বাস্য হারের পর কেঁদে ভাসিয়েছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ল্যাজেগোবরে হাল বাংলাদেশের, এর মাঝেই দেশে ফিরে গেলেন শাকিব আল হাসান
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে ধাক্কাটা হজম করতে পারছে না পাকিস্তান। এই মেগা ইভেন্টে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নরা টানা তিনটিতে হারের পর থেকে পাক অধিনায়ককে নিয়ে সমালোচনা একেবারে আকাশছোঁয়া। পাকিস্তানের সামা টিভির একটি শোতে মহম্মদ ইউসুফ দাবি করেছেন, ‘আমি সাংবাদিক সম্মেলনে দেখেছি এবং আমি অন্য সময়েও এটি লক্ষ্য করেছি যে, বাবর বেশ বিব্রত ছিল। আমি শুনেছি, আফগানদের কাছে ওই হারের পর বাবর কেঁদেছে। আসলে এখানে বাবরের একার কোনও দোষ নেই। পুরো টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সঙ্গে জড়িত। আমরা বাবরের এই কঠিন সময়ে ওর পাশেই আছি। সমগ্র দেশের মানুষও ওর পাশে রয়েছে।’
বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। দলের ভেতরের একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে পাকিস্তান একটা মিরাকেল করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারলেই, বাবরের অধিনায়কত্ব বেঁচে যেতে পারে। তখন হয়তো শুধু লাল বলের ক্রিকেটে তাঁকে অধিনায়ক হিসাবে রাখা হতে পারে।’
পাকিস্তানের কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি আবার বাবর আজমকে একবারে ধুইয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনি খেলায় মনোযোগী হতে পারছেন না, কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন, বা ইতিবাচক কিছু ভাবছেন না, তখন এই সমস্ত বিষয়গুলি (ফিল্ডিং সমস্যা) ঘটবে।আমি মনে করি যে, মাঝে মাঝে আমরা অলৌকিক কোনও ঘটনার জন্য অপেক্ষা করি। অলৌকিক ঘটনা সব সময়ে ঘটে না। অলৌকিক ঘটনা ঘটে সাহসী লোকের সঙ্গেই। কারণ সাহসী মানুষ জানে কী ভাবে লড়াই করতে হয়।’
ইউসুফ, ইনজামাম-উল-হক এবং নিজের উদাহরণ টেনে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আগেও এমন হয়েছে, যখন আমি বা মহম্মদ ইউসুফ অধিনায়ক, সেই সময়ে আমরা যখন সব প্লেয়ারদের সঙ্গে মাঠে দৌড়াতাম, তখন পুরো দল তেতে যেত। ইনজামাম যখন মাঠে ডাইভ দিতেন, তখন বিশ্বাস করুন, আমরা খেলোয়াড়রা বিব্রত বোধ করতাম যে, অধিনায়ক ডাইভ করছে, অথচ আমরা করছি না। দিনের শেষে, সবকিছুই অধিনায়কের ঝুলিতেই ফিরে আসে।’