গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে ভালো পারফর্ম করা সত্ত্বেও খেতাব জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। লাগাতার দশটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে গিয়ে অজিদের দাপটের সামনে মাথানত করতে বাধ্য হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। ১৯ নভেম্বর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ৬ উইকেটে ম্যাচটি পকেটে তুলে নেন প্যাট কামিন্সের দল।
এই হারকে ঘিরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার মহাম্মদ কাইফ। স্টার্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান যে তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে কাগজে-কলমে লেখা সেরা দল ভারত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। যদিও এর পালটা দেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। তিনি জানান, কাগজে-কলমে যেই সেরা দল হোক না কেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে যারা জেতে তারাই সেরা হয়। '২০২৭ আমরা আসছি' বলে তিনি শেষ করেন।
বিশ্বকাপ ২০২৩-র ফাইনালে ভারতের পরাজয় আঘাত দিয়েছে বহু প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সহ ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতীয় শিবিরের মনবল চাঙ্গা করতে ড্রেসিং রুমে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। স্টার্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহাম্মদ কাইফও। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না কাগজে-কলমে লেখা বিশ্বের সেরা টিম ভারত এই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।'
নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে এর পালটা দেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি লেখেন, 'আমি মহাম্মদ কাইফকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু আসল সত্যি এটাই যে কাগজে-কলমে কে সেরা সেটা বড় ব্যাপার নয়। ফাইনাল যে জেতে সেই হয় সেরা। এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।' ওয়ার্নারকে সমর্থন দেন অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার গ্লেন মিচেলও এবং জানান, 'মহম্মদ কাইফের বোঝা উচিত সেরা টিম কাগজে-কলমে বিচার হয় না, বিচার হয় মাঠের খেলায়।'
উল্লেখ্য, ফাইনালে টসে জিতে টিম ইন্ডিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। অর্ধশতরান করেন কেএল রাহুল (৬৬) এবং বিরাট কোহলি (৫৪)। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট পান মিচেল স্টার্ক, দুটি করে উইকেট পান হেজেলউড ও প্যাট কামিন্স এবং একটি করে উইকেট পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত ৩টি উইকেট হারালেও ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
শতরান করেন ওপেনার ট্র্যাভিস হেড। তাঁর সংগ্ৰহ ১২০ বলে ১৩৭, যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি চার ও ৪টি ছয়। এছাড়াও ১১০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস আসে মার্নাস ল্যাবুশানের ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট পান জসপ্রীত বুমরাহ এবং একটি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ। ম্যাচের সেরা হন ট্র্যাভিস হেড এবং টুর্নামেন্টের সেরা হন বিরাট কোহলি।