সম্ভবত মজার ছলেই সাংবাদিক সম্মেলনে ইমাম উল হক কথাগুলো বলে ফেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে, সেটা বোধহয়ে স্বপ্নেও ভাবেননি পাক ওপেনার। আপাতত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে হঠাৎই চর্চায় ইমাম তথা পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
২০২৩ সালে রোহিত শর্মা একাই যেখানে ওয়ান ডে ক্রিকেটের প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, সেখানে চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে ওয়ান ডে-র প্রথম ১০ ওভারে একটিও ছক্কা মারেননি পাকিস্তানের কোনও ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের এমন রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে চর্চা চলছে বিস্তর। স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তান ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে ইমাম উল হকের সামনে উত্থাপন করা হয় প্রসঙ্গটি। জানতে চাওয়া হয়, কেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ছক্কা হাঁকাতে পারছেন না।
জবাবে ইমাম বলে বসেন যে, সম্ভবত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে বেশি করে প্রোটিন খাওয়া দরকার। ছক্কা হাঁকানোর জন্য পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের প্রোটিনের প্রয়োজন, মস্করার এমন উপাদান হাতে পাওয়া মাত্রই নেটিজেনরা ঝাঁপিয়ে পড়েন মিম বানাতে।
বেবি ফুড থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোটিন ড্রিংকস পান করার পরামর্শ দেওয়া শুরু হয়ে যায় পাক ক্রিকেটারদের। কেউ কেউ পিসিবির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে, এতগুলো দিন বাবররা পাওয়ার প্লে-তে ছক্কা মারেননি। পাকিস্তানে কি ভালো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের কোনও রেস্টুরেন্ট নেই?
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ৪ ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সম্মিলতভাবে মোট ১৫টি ছক্কা মেরেছেন। যদিও তার কোনওটিই প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে নয়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আবদুল্লা শফিক। ৩টি করে ছক্কা মেরেছেন মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিকার আহমেদ। ১টি করে ছক্কা মেরেছেন সউদ শাকিল, মহম্মদ নওয়াজ, শাদব খান ও হ্যারিস রউফ। বাবর আজম ৪টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৮৩ রান সংগ্রহ করলেও কোনও ছক্কা মারতে পারেননি।
আরও পড়ুন:- নড়বড়ে নব্বইয়ে কাবু নন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলি কতবার ৯০-এর ঘরে আটকেছেন জানেন?
উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবার নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোড়া জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে। তবে ঠিক তার পরেই ছন্দপতন ঘটে বাবর আজমদের। বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে একতরফাভাবে পরাজিত হয়ে পাকিস্তান। পরে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও লড়াই করে হার মানেন বাবররা। অর্থাৎ, নিজেদের প্রথম ৪ ম্যাচ থেকে সাকুল্যে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পাকিস্তান।