একেই ৫ ম্যাচের তিনটিতে হেরে চলতি বিশ্বকাপে প্রবল চাপে পাকিস্তান। তার উপরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল হাতে পাচ্ছে না তারা। হারের হ্যাটট্রিক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে পাকিস্তান দলে পাচ্ছে না নির্ভরযোগ্য পেসারকে।
এমনিতেই নাসিম শাহ চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় তাঁর অভাব টের পাচ্ছে পাকিস্তান। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন অভিজ্ঞ পেসার হাসান আলি। চোট নেই হাসানের। আসলে অসুস্থতার জন্য শুক্রবার চেন্নাইয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। জ্বরে কাবু হাসানকে ছাড়াই প্রোটিয়াদের মোকাবিলা করতে হবে বাবরদের।
হাসান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে তাঁকে দুর্বলতা নিয়ে মাঠে নামাতে রাজি নয় পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। বরং বাকি ম্যাচগুলির আগে তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দিতে চায় পাকিস্তান। উল্লেখ্য, নাসিম শাহ চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় বিশ্বকাপ দলের দরজা খোলে হাসানের সামনে। তিনি মন্দ বোলিংও করছেন না চলতি বিশ্বকাপে। হাসান ৫ ম্যাচে সাকুল্যে ৮টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকনমি রেট শাহিন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফের থেকেও ভালো। ক্রমাগত ডট বল করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপরে চাপ তৈরি করতে দেখা গিয়েছে হাসানকে।
স্বাভাবিকভাবেই হাসান আলি না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শক্তি কমল পাকিস্তানের। বাবর আজমরা সম্ভবত তাঁর পরিবর্তে মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রথম একাদশে জায়গা করে দিতে পারেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রথম একাদশে পাকিস্তান আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বদল করতে পারে। অভিজ্ঞ ফখর জামানকে ওপেনে ফেরাতে পারেন বাবর আজমরা। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন ইমাম উল হক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফখরের রেকর্ড ভালো বলেই তাঁর উপরে আস্থা রাখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোড়া জয়ে চলতি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে পাকিস্তান। তবে তার পরেই বাবর আজমরা হার মানেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হার পাকিস্তানের মনোবলে জোরালো ধাক্কা দেয়।
বিশ্বকাপ ২০২৩-এ পাকিস্তানের সার্বিক পারফর্ম্যান্স:-
১. হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে পরাজিত করে।
২. হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয়।
৩. আমদাবাদে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়।
৪. বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬২ রানে হেরে যায়।
৫. চেন্নাইয়ে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হার মানে।