২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার দল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছে এবং সেমিফাইনালে নিজেদের দাবি আরও শক্তিশালী করেছে। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৮২ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ২৩৩ রান করতে পারে এবং ম্যাচটি বাংলাদেশ ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায়।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশের সামনে ৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একটা সময়ে সাত উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে সেই সময়ে সকলের মন জেতে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং। ১১১ বলে ১১১ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-
বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই টুর্নামেন্টে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ জয়। এই ম্যাচে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩৮২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে বাংলাদেশ দল ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ২৩৩ রান করতে পারে। এর ফলে ম্যাচটি ১৪৯ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১১১ রান করলেও তার ইনিংস দলকে জেতাতে সফল হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কুইন্টন ডি’কক ১৭৪ এবং এনরিখ ক্লাসেন ৯০ রান করেন। অধিনায়ক মার্করাম ৬০ রানের অবদান রাখেন।
বাংলাদেশের ইনিংস কেমন ছিল-
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে আউট হন ওপেনার তানজিদ হাসান (১২) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (১) ও মুশফিকুর রহিম (৮)ও ব্যাট করেননি। লিটন দাস (২২) বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বাংলাদেশের খারাপ অবস্থার আঁচ করা যায় মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। ১১ রানের অবদান মেহেদি হাসান মিরাজ। এক সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ হয়তো ১০০ রানও করতে পারবে না। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ এক প্রান্ত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। সপ্তম উইকেটে নাসুম আহামের (১৯) সঙ্গে ৪১ রান, হাসান মাহামদু (১৫) সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৩৭ রান এবং মুস্তাফিজুর রহমানের (১১) সঙ্গে নবম উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৪৬তম ওভারে নবম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জেরাল্ড কোয়েটজি তিনটি এবং লিজাদ উইলিয়ামস, মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাদা দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান কেশব মহারাজ।