স্কোর বোর্ডে বড় রান তুলেও বিশ্বকাপের প্রথম ২টি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ভালো খেলেও হারতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। তার উপর শনিবার এমন এক দুঃসংবাদ উড়ে আসে শ্রীলঙ্কা শিবিরে, যা তাদের আত্মবিশ্বাসে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে।
আসলে চোটের জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন শ্রীলঙ্কার নির্ভরযোগ্য তারকা। অন্য কেউ নন, উরুর চোটে চলতি বিশ্বকাপে আর মাঠে নামতে পারবেন না তাদের ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকা।
গত ১০ অক্টোবর হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় ডান উরুতে চোট পান শানাকা। তাঁর পেশির চোট সারতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। যার অর্থ, লিগ পর্যায়ে শানাকার পুনরায় মাঠে নামার সম্ভাবনা কার্যত নেই। সেই কারণেই তড়িঘড়ি শানাকার পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
শানাকার বদলি হিসেবে শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন চামিকা করুণারত্নে। বিশ্বকাপের ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটির মঞ্জুরিও মিলেছে এই বিষয়ে। চামিকা ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে ভারতেই ছিলেন।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়ে আসে দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুষ্মন্ত চামিরাকে ছাড়াই। চোটের জন্য চামিরা ও হাসারাঙ্গা বিশ্বকাপের দলে বিবেচিত হননি। এবার ছিটকে যাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় যোগ হল শানাকার নামা। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার শক্তি আরও কমল।
শানাকা দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি মাত্র ১২ রান করে আউট হন। শানাকার পরিবর্ত হিসেবে স্কোয়াডে ঢোকা চামিকা এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৩টি ওয়ান ডে খেলেছেন। ডানহাতি এই বোলিং অল-রাউন্ডার দেশের জার্সিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৪৪৩ রান ও ২৪টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
শানাকার অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাইস ক্যাপ্টেন কুশল মেন্ডিসের। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা বোর্ডের তরফে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার সময় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন কেউ চোট পেলে হাসারাঙ্গার দলে ঢুকে পড়া অসম্ভব নয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে বুঝে নিতে হয় যে, ওয়ানিন্দু এখনও পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠেননি।
বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার পরিবর্তিত স্কোয়াড:-
কুশল পেরেরা, পাথুম নিশঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে, কুশল মেন্ডিস (ক্যাপ্টেন), সাদিরা সমরাবিক্রমে, চরিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা, চামিকা করুণারত্নে, দুশান হেমন্ত, দুনিথ ওয়েলালাগে, মাহিশ থিকসানা, মাথিসা পথিরানা, লাহিরু কুমারা, কাসুন রজিথা ও দিলশান মদুশঙ্কা।