নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন রোহিত শর্মা। যদিও ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে বড় রানের ইমারতে বসিয়ে দিতে সক্ষম হন তিনি। প্রতিপক্ষ দল নিজেদের বোলিং কোটা সমাপ্ত করায় ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় অপরাজিত থেকে যান রোহিত।
বৃহস্পতিবার জয়পুরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির এ-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হরিয়ানা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেনার অঙ্কিত কুমার ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটকিপার রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ৪৭ রানে নট-আউট থাকেন। ২৮ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া হার্ষাল প্যাটেল ১, হিমাংশু রানা ১১ ও নিশান্ত সিন্ধু ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন।
জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে ৪ ওভার বল করে ৪৬ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন উমরান মালিক। অর্থাৎ, ওভার প্রতি তিনি ১১.৫০ রান খরচ করেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট দখল করেন যুধবীর সিং ও আবিদ মুস্তাক। রসিখ সালাম ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করেন। তবে কোনও উইকেট পাননি তিনি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে জম্মু-কাশ্মীর ১৭.৩ ওভারে ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে হরিয়ানা। জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান ফাজিল রশিদ। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ৬১ রান করে মাঠ ছাড়েন। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্কের রান বলতে আবিদ মুস্তাকের ১৫। ১৪ বলের ইনিংসে আবিদ ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বিব্রান্ত শর্মা ৪, শুভম খাজুরিয়া ১ ও আবদুল সামাদ ১ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি উমরান মালিক।
হরিয়ানার হয়ে ৩ ওভার বল করে মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন অংশুল কাম্বোজ। ৩.৩ ওভার বল করে ১৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন হার্ষাল প্যাটেল। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন নিশান্ত সিন্ধু। ৩ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন সুমিত কুমার। ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করেও উইকেট পাননি যুজবেন্দ্র চাহাল।