আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং পুরসভা। এই পুরসভা দখলের লড়াইয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে। শনিবার জিএনএলএফকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোর কদমে প্রচার করতে দেখা গেল দার্জিলিং পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। জিএনএলএফ প্রার্থী পুনম ঘিমরের সমর্থনে দার্জিলিংয়ের জিএনএলএফ নেতা নিরজ জিম্বা, ওয়াই লামা প্রার্থীকে সাথে নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে জিএনএলএফ।
প্রচার শেষে জিএনএলএফ নেতা নিরজ জিম্বা জানান, ‘আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। ভোটে জিতলে আমরা মানুষের সমস্ত সমস্যার সমাধান করব। দার্জিলিং পুরসভার পরিষেবাকে আরও উন্নত করব।’
দার্জিলিং পুরসভায় বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট করে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি আসনে এবং তৃণমূলের সহযোগী জোট হিসেবে বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২২টি আসনে তাদের প্রার্থী দিয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনিত থাপার ভারতীয় প্রজাতান্ত্রীক মোর্চা এবং অজয় অ্যাডওয়াডের হামরো দল ৩২টি আসনের প্রার্থী দিয়েছে। জিএনএলএফ ২২টি ও বিজেপি ১০টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে।
এদিকে, শিলিগুড়ির পুরনিগমের মতো দার্জিলিং পুরসভাতেও তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে গৌতম দেবের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব পেয়ে একেবারে শিলিগুড়ির আদলে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন গৌতম দেব।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের ডেভেলপমেন্ট ও কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক করেন গৌতম দেব। বৈঠক শেষে গৌতম দেব জানিয়েছেন তারা তৃণমূলকে সমর্থন রাজি রয়েছেন।