গতকালই পুরভোটের মনোনয়ন জমার শেষ লগ্নে এসেও টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধদের বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল বিভিন্ন জায়গায়। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। বহু জায়গাতেই বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই আবহে জলপাইগুড়ির বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন পেশ করার বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন উচ্চ আদালতের। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কপূরের একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে চাওয়া নেতা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কোতয়ালি থানার আইসিকে। তবে সেই নির্দেশ সত্ত্বেও পুলিশই সেই নির্দল প্রার্থীকে আটকে রেখে মনোনয়ন জমা দিতে দিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী ফের উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন মলয়বাবু। এরপর বুধবার আদালতে যান তিনি। জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি হয় বুধবার। আর সেই শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেন, অবিলম্বে পুলিশ ও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে মলয়বাবু তাঁর মনোনয়ন পেশ করতে পারেন।
জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন মলয়বাবু। তৃণমূলের ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়া প্রথম প্রার্থী তালিকায় তাঁর নামও ছিল। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম বাদ পড়ে। এই আবহে নির্দল হিসেবেই ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মলয়বাবু। তবে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। উল্টে মঙ্গলবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল পুলিশ। এরপর বুধবার আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ মলয়বাবুকে আটকে রাখা হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষার নামে তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। তিনটের সময় মনোনয়ন পেশের সময় শেষ হলে মলয়বাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে ফুঁসছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। ফের একবার আদালতের দরজার কড়া নাড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।