প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। তারই মাঝে এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল চুঁচুড়ায়। প্রার্থী তালিকায় একেবারে প্রথমে নাম থাকা সত্ত্বেও রাতারাতি বদলে গেল সেই তালিকা। এমন ঘটল চুঁচুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে একবারে প্রথমে মণিদীপা সরকারের নাম থাকা সত্বেও রাতারাতি তাঁর নাম বদলে রিতা দাস দত্তকে প্রার্থী করা হল। তা কোন ভাবেই মানতে চাইছেন না মণিদীপা সরকারের সমর্থক অনুগামীরা। কেউই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না। এই অবস্থায় চুঁচুড়ায় প্রার্থী তালিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মণিদীপা সরকারের সমর্থক অনুগামীরা। স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের বাড়িতে বিক্ষোভ করেন তাঁর সমর্থক অনুগামীরা।অন্যদিকে, রিতা দাস দত্তও এই সুযোগ হাতছাড়া না করে তাঁকে দলের প্রার্থী করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি চলে যান তিনি। এর পরে রিতা দাস দত্তের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমাকে দল প্রার্থী করেছে। পার্থবাবু তা নিশ্চিত করেছেন।' অন্যদিকে, দলের এই সিদ্ধান্তকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না মণিদীপা সরকারের সমর্থক এবং অনুগামীরা। তাঁর হয়েও দেওয়াল লিখন কাজ চলছে।
একই ওয়ার্ডে একই দলের দুজন প্রার্থী কিভাবে হতে পারে? তাই না এখন চলছে দ্বন্দ্ব। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, 'দলই ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে?' আর দলের এই কোন্দলকে হাতছাড়া করতে চাইনি বিজেপি। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ তৃণমূলের টিকিটকে ডিয়ার লটারির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, 'যে তৃণমূলের টিকিট পাবে সেই কোটিপতি হবেন। আর সেই সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চাইছে না। তাই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।'