বাঁকুড়ার মেজিয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত। ফের পোস্টাল ব্যালটে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অভিযোগে। বিজেপির দাবি, প্রশাসনের মদতে ভোটকর্মী নন এমন ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও বিডিওর দাবি, কোনও কারচুপি হয়নি।
পঞ্চায়েত ভোটে ভোটকর্মীদের পাশাপাশি ভিডিয়োগ্রাফার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, বাস কনডাক্টরদেরও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেজন্য বিডিও অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে হয়। অভিযোগ, বারাসত ১ নম্বর ব্লক অফিসে কমিশনের পরিচয়পত্র ছাড়াই বহু মানুষ পোস্টাল ব্যলটে ছাপ মেরে বাক্সে ফেলে দিয়ে যাচ্ছেন। এই খবর শুনে সেখানে হাজির হন জেলাপরিষদে সিপিআইএম প্রার্থী হবিব আলি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে ধরেন তিনি। ভোটার কার্ড দেখালেও কমিশনের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি তারা। জেরার মুখে তারা স্বীকার করে, ‘পাড়া থেকে ভোট দিতে পাঠিয়েছে।’
বিডিও সৌগত পাত্রকে এই অভিযোগ করলে তিনি বলেন, কোনও কারচুপি হয়নি। গাড়ির মালিকের অথোরাইজেশন লেটার নিয়ে সবাই ভোট দিচ্ছেন। কোথাও কোনও কারচুপি হওয়া সম্ভব নয়।
বলে রাখি, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার মেজিয়ায় একই অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। সেখানে বিডিও অফিস দখল করে তৃণমূল নেতারা পোস্টাল ব্যালটে ছাপ্পা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ।