হাত আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের। প্রচার শেষ হবে তার আগেই। কিন্তু হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ঘরবন্দি। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারই মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এ বার ভাচুর্য়াল সভা করার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূম দিয়ে শুরু হবে তাঁর এই প্রচারপর্ব। দুবরাজপুরে সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
(পড়তে পারেন। প্রতারণা করলে বাদ, ভাল কাজে বাড়বে মেয়াদ! দলের ভাবী প্রধানদের বার্তা অভিষেকের)
ভোট প্রচারে উত্তরবঙ্গ গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ফেরার সময় জলপাইগুড়িতে তাঁর হেলিকপ্টার দুর্যোগের কবলে পড়ে। আহত হন মমতা। পায়ে চোট পান। তড়িঘড়ি কলকাতা ফিরেয়ে এনে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানান পায়ে এবং কোমরের চোট পেয়েছেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি মমতা। ওই দিন বাড়ি ফিরে যান।
পঞ্চায়ত ভোট ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই সময় প্রচারের মাঠের বদলে ঘরবন্দি দলনেত্রী। এই অবস্থা কাটাতে নিজেই ভর্চুয়াল সভার মাধ্যমে বক্তব্য রাখার কথা জানিয়েছেন। সোমবার দুবরাজপুরে সভা করবেন তিনি। পরে আর কোথায় এই সভা করবেন তা জানা যায়নি।
গরুপাচার মামলার তদন্তে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি। বীরভূমের দাপুটে নেতার অনুপস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিরোধীরাও কার্যত নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তাই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন হবে, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।
অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দল চালানোর জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন মমতা। এছাড়া, বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন ফিরহাদ হাকিম। জেলা সভাপতির অনুপস্থিতিতে এটাই প্রথম ভোট। তাই তৃণমূল নেত্রী বিশেষ নজরে রেখেছেন বীরভূমকে। জলপাইগুলির পর বীরভূমেও যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। তাই ভাচুর্য়াল মাধ্যমে তিনি দুবরাজপুরের সভা থেকে বক্তব্য রাখবেন।