রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পর্বে নানা হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। বিরোধীরা নানা অভিযোগ তুলেছে। এবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য ভয়ঙ্কর চাপ দেওয়া হল বলে অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস প্রার্থীকে সরাসরি বাড়িতে পোস্টার মেরে হুমকি দেওয়া হল। আর তাতে তিনি যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোলা হলেও তা অস্বীকার করা হয়। তবে গোটা ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুন হন। তারপর নবগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুন হন। তারপরও হিংসার আবহাওয়া থামছে না। এবার মুর্শিদাবাদ থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা অঞ্চলের মানিকনগর গ্রামে সরাসরি কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ল। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা কাপাসডাঙা আসনের কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির দরজায় হুমকি পোস্টার সেঁটে দিয়ে গিয়েছে। যদিও কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি এই কাজ তৃণমূলের। ভয় দেখিয়ে জয় পেতে চাইছে শাসকদল।
ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে? এই পোস্টারে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে কবর খুঁড়ে রাখার নিদান দেওয়া হয়েছে। হুমকি পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তুই জিততে পারবি না। তাই নিজের ভাল চাইলে নমিনেশন তোল। আর তা না হলে কবর খুঁড়ে রাখবি।’ অর্থাৎ খুন করে কবর দিয়ে দেওয়া হবে বলে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী সাদের আলিকে। এই ঘটনা নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার পিছনে অন্য বিষয় দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, এই কাজ বিজেপি বা সিপিএম করছে। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করা যায়।
ঠিক কী বলছে কংগ্রেস–তৃণমূল? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী একটা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে সাদের আলি বলেন, ‘আমি আজ সকালে বাড়ির বাইরে এসে দেখি দরজায় একটা পোস্টার লাগানো রয়েছে। যেখানে মনোনয়ন তুলতে বলা হয়েছে। এমন হুমকি পোস্টারে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছে তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোলাম মহম্মদ আকবরী। তাঁর কথায়, ‘আমাদের কাছে নির্দেশ আছে সারা বাংলায় স্বচ্ছ ভোট করতে হবে। আমি নিজেও একই নির্দেশ দিয়েছি। এসব আসলে সিপিএম–বিজেপি করে তৃণমূলকে আটকাতে চাইছে। কারণ তারা সব জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’