মিনাখাঁর মোহারুদ্দিন গাজি। অভিযোগ উঠেছিল মক্কায় বসে তিনি মিনাখাঁয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদলও এনিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত এনিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে মক্কায় বসে তিনি মিনাখাঁর মনোনয়নপত্রে সই করলেন কীভাবে?
তবে সূত্রের খবর, তাঁর হাতের লেখার নমুনা হস্তরেখা বিশারদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সিআইডির কাছে এই তদন্তভার গিয়েছিল। সিআইডি ওই ব্যক্তির হাতের লেখার নমুনা নিয়েছে। এবার হস্তরেখা বিশারদের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে তিনি আদৌ এই মনোনয়নপত্রে সই করেছিলেন কি না।
কারণ দেখা গিয়েছিল পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি জারির আগের দিনই ওই প্রার্থী ৪ জুন ব্যক্তিগত কারণে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এরপর মাঝে দেখা যায় তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। কিন্তু তাঁর ফেরার কথা ছিল ১৬ জুলাই। সেক্ষেত্রে মাঝে মনোনয়নপত্রে তিনি কীভাবে সই করলেন তানিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কারণ মামলাকারীর দাবি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসারের সামনে বসে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সই করতে হয়। কিন্তু যিনি বিদেশে বসে থাকলেন তিনি কীভাবে মনোনয়নে সই করলেন? তবে এনিয়ে বিরোধীদের দাবি, সবটাই হয়েছে শাসকদল ও প্রশাসনের সহযোগিতায়। শাসকদলের প্রভাব থাকলে বিদেশে বসে থেকেও যে কেউ এই মনোনয়নে সই করতে পারেন। সেক্ষেত্রেও এটাই হয়েছে মিনাখাঁর মোহারুদ্দিন গাজির ক্ষেত্রে। তবে সেই সই আদৌ মিনাখাঁর মোহারুদ্দিন গাজির কি না সেটাই এবার যাচাই করা হবে। সেক্ষেত্রে হস্তরেখা বিশারদ কী রিপোর্ট দেন তার উপরই নির্ভর করছে অনেককিছু।
এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে মনোনয়নপত্রের সই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সিআইডির হাতে তদন্তভার যায়। তবে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন মামলাকারী। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্রে থাকা তাঁর সইয়ের নমুনা হস্তরেখাবিশারদকে দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।