পদ্মের বদলে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল জোড়া ফুল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়া আবেদন জানালেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ছায়াসঙ্গিনী' সোনালী গুহ। একবার নয়, একাধিকবার তাঁর মুখ দিয়ে পদ্মফুলের সঙ্গে জোড়া শব্দটিও বেরিয়ে যায়। এই নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতেত পড়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে নেত্রীর দাবি, অসাবধানতাবশত তাঁর মুখ দিয়ে জোড়া ফুল শব্দটি বেরিয়ে গিয়েছে।
(পড়তে পারেন। Panchayat election 2023: ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে’ হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের)
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে শনিবার নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মসমিতির সদস্য সোনালি। সেখানে তিনি প্রার্থীদের নিয়ে এলাকায় প্রচারে বেরোন। সেই সময় অন্য বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে পদ্ম ফুলের সঙ্গে জোড়া ফুলও বলে ফেলেন। তাঁকে সতর্কও করে কয়েকজন কর্মী। নিজের ভুল বুঝতে পেরে দ্রুত শুধরে নেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে মোবাইল বকটান্দি হয়ে গিয়েছে সেই স্লোগান। সমাজমাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
পরে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সোনালি গুহ বলেন,'অসাবধানতাবশত' এই ভুল হয়ে গিয়েছে। এটা নিয়ে বড় কিছু ভাবার দরকার নেই।অত্যাধিক গরমের কারণে হয়ে গিয়েছে। '
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার কটাক্ষ,'উনি তো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দল করছেন। হয়তো কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই জোড়া ফুলে ভোট দিতে বলে ফেলেছেন।'
এ দিন প্রচারে বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সোনালী গুহ। তিনি বলেন,'আমি পাঁচবারের বিধায়ক ছিলাম। বিধায়ক চাইলেই এলাকার উন্নয়ন করতে পারেন। এখানকার বিধায়ক দুর্নীতির উন্নয়ন করছেন, আসল উন্নয়ন হবে কী করে।'
২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা চারবার সাতগাছিয়া থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন। তাঁর আগে ওই আসনে দাঁড়াতেন জ্যোতি বসু। তৃণমূল সরকারের আমলে তিনি ডেপুটি স্পিকারও হন। ২০২১ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি দল। তাঁর জায়গায় ওই আসনে মোহনচন্দ্র নস্করকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের শেষ দিনে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেলেন সোনালী।
পরে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। গত পুরভোটে তাঁকে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। দলের নির্দেশেই এবার প্রচারে বেরিয়েছেন সোনালী।