আজ, শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরুতেই অশান্তির খবর আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বোমাবাজি, গুলি থেকে শুরু করে খুন করার অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। আর নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুর ২ নম্বর অঞ্চলের ৬৭, ৬৮ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট বয়কটের দাবি তোলে এলাকাবাসী বলে অভিযোগ। তখন বন্ধ রাখা হয় ভোটদান পর্ব। ভোট করতে দিচ্ছে না বিজেপি এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কারণ বিজেপিও ভোট বন্ধ করার জন্য অশান্তি শুরু করে বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান এই পরিস্থিতি দেখে পথে নামেন। বিজেপি কর্মী এবং প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসার পর তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের নিজেই ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চান।
এদিকে নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট বয়কটের ডাক দেয় বিজেপি। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। জোর করে ভোট বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় সংখ্যায় কম থাকা পুলিশ কর্মীরা বুথের ভিতর লুকিয়ে পড়েন বলে খবর। আবার হলদিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় বুথের দরজা বন্ধ করে দেন বিরোধীরা। বিজেপি কর্মীরা আজ, শনিবার সকালে বুথে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ পর্ব। তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অন্যদিকে ওই এলাকারই ভোটার তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ সুফিয়ান। এবার তিনি টিকিট পাননি। কিন্তু তিনি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি বিগড়েছে খবর মেলায় তিনি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। ছুটে ওই বুথে যান তিনি। কেন ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে? সেটা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভোটগ্রহণ শুরু করা নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গেও শুরু হয় তর্ক। তিনি নিজেও ভোট দিতে পারেননি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট শুরু করতে রাজি হননি বিজেপি কর্মীরা। তা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গরমে মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: ‘ভোটের নামে প্রহসন চলছে’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস নিয়ে টুইট করলেন সুকান্ত
ঠিক কী বলেছেন সুফিয়ান? এমন এক উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সুফিয়ান নিজেই প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেন। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে শুরু করেন। তিনি ফোনে প্রশাসনিক অফিসারদের বলেন, ‘বিজেপি এবং সিপিএম এখানে হামলা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে নেই। দ্রুত এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমি এসপি, ডিএমকে ইতিমধ্যেই বলেছি। কিন্তু কেউ এখনও কোনও ফোর্স পাঠাচ্ছে না।’ তখন পুলিশের একটি কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তবে ভোট অনেকক্ষণ থমকে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।