চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জোটকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ইন্ডিয়া ব্লক। এমনকী নতুন করে নির্বাচন করানোর জন্য পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টেও গিয়েছেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগর পুরসভায় ৩৫ জন সদস্য আছেন। মেয়র নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা অবশ্য ৩৬। কারণ মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে চণ্ডীগড়ের সাংসদেরও একটি ভোট আছে সেখানে। সব মিলিয়েও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তাই এই পুরসভার মেয়র পদ দখল করা প্রায় নিশ্চিত ছিল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জন্য। তবে মেয়র সহ যে তিন পদের জন্য নির্বাচন হয়, তাতে বিজেপিই জয়ী হয়। এই আবহে সরব হয়েছে বিরোধীরা। (আরও পড়ুন: ৮৩ হাজার কোটির 'মার্জার ডিল' বাঁচাতে শেষ চেষ্টা জি-এর, ৩ সপ্তাহ সময় সোনিকে)
আরও পড়ুন: ভারতের পড়শি দেশে চিনা প্রভাব বিস্তার কি দিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা? অকপট জয়শংকর
মেয়র নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই কাউন্সিলররা পুরসভার অন্দরে তাণ্ডব শুরু করেন। এরপরে সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদের নির্বাচন বয়কট করে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। এর জেরে সেই দুই পদও বিজেপির ঝুলিতেই যায়। সরকারি ভাবে প্রকাশিত ফলে বলা হয়, বিজেপির প্রার্থী মনোজ সোনকর আম আদমির কুলদীপ কুমারকে ১৬-১২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি ভোট বাতিল করা হয়। সহজ অঙ্ক কষলেই বোঝা যাচ্ছে, বাতিল হওয়া ভোটের সবকটাই বিরোধী কাউন্সিলরদের।
এদিকে মেয়র নির্বাচন ঘিরে ঝামেলা হওয়ার পর বিরোধী ওয়াকআউট করেন। এরপরে সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদের জন্য বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কুলজিৎ সান্ধু এবং রজিন্দর শর্মাকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তাঁরাও ১৫টি করে ভোট পায়। প্রসঙ্গ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের ১৮ জানুয়ারির নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এই নির্বাচন ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা এবং বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মাসিহ বিরোধীদের ব্যালট ইচ্ছে করে নষ্ট করেছেন। যদিও নির্বাচনী আধিকারিক এবং বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপ-এর হেরে যাওয়া প্রার্থী কুলদীপ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। গতকাল ভোটের ফল প্রকাশের পর কুলদীপকে কাঁদতে দেখা যায় পুরসভার বাইরে। এই আবহে কুলদীপের দাবি, এই নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুন করে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক আদালতের তরফ থেকে।