ছত্তিশগড়ে দুঃসম্পর্কের ভাইপোর কাছে পিছিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। আজ সকাল থেকেই সাপ-সিঁড়ির লড়াই চলছে সেখানে। কখনও বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে, তো কখনও কংগ্রেস। তবে বেলা যত গড়িয়েছে, তত কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। সকাল ১১টা নাগাদ গেরুয়া শিবির ৫৭টি আসন নিয়ে ম্যাজিক ফিগারের অনেক ওপরে চলে গিয়েছে। এদিকে কংগ্রেস আটকে গিয়েছে ৩১ আসনে। এই আবহে ছত্তিশগড়ে পিছিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের 'মুখ' ভূপেশ বাঘেল নিজেই। (আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের ভোটের ফলাফলের লাইভ আপডেট)
আরও পড়ুন: হিন্দি বলয়ে বিজেপির 'প্রত্যাবর্তনের আভাস', তেলাঙ্গানায় 'পুনর্জন্ম' কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজপাট উৎখাত করে গত ২০১৮ সালে ছত্তিশগড় দখল করেছিল কংগ্রেস। গত ৫ বছর ধরে কিছুটা অন্তর্দ্বন্দ্ব ছাড়া নির্বিঘ্নেই ছত্তিশগড় সরকার চালান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তবে তাঁর মেয়াদ শেষ হতে হতে মহাদেব বেটিং অ্যাপের কাণ্ড সামনে আসে। ঘটনায় নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলেরই। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে এই বিষয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগে প্রচার করেছিলেন। এই আবহে ভোটবাক্সে 'মহাদেবের' প্রভাব পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। এদিকে ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন অজিত যোগীর পুত্র অমিত যোগী এবং এবং বিজেপি সাংসদ তথা বাঘেলের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বিজয় বাঘেল। এই আসন থেকে ভূপেশ পিছিয়ে পড়েছেন। এদিয়ে আছেন তাঁর ভাইপো বিজয়। এদিকে শুধু ভূপেশই নয়, তাঁর মন্ত্রিসভার ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ১০ জনই পিছিয়ে পড়েছেন নিজেদের আসনে। ওদিকে বিজেপি হেভিওয়েট তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং নিজেও পিছিয়ে এখানে। (আরও পড়ুন: মরুভূমে ফুটছে পদ্ম, তারই মাঝে টিমটিম করছে একটি ‘লাল দ্বীপ’)
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়, ১৫০ পার করে বিধানসভা দখলের পথে বিজেপি
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে দুই দফায় ৭ এবং ১৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজ্যে কংগ্রেসের ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে বিজেপির 'মুখ' হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই। এদিকে মহাদেব অ্যাপ বিতর্কের বদলে কংগ্রেস কংগ্রেস এবং মহিলাদের জন্য জনমুখী প্রকল্পের ঘোষণা করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করেছে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড় রাজ্য গঠন হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। এরপর ২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ছত্তিশগড় ছিল বিজেপির দখলে। এর মাঝে ২০১৩ সালে মাও হামলায় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন। তাতে এই রাজ্যে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল হাত শিবির। তবে ২০১৮ সালে হাওয়া বদল হয় এখানে। তবে ২০২৩ সালে বিজেপি তাদের হারানো রাজপাট ফিরে পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।