এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার বড় সাফল্য পেল নির্বাচন কমিশন। দেখা যাচ্ছে ভোটার তালিকায় এমন একাধিক নাম রয়েছে, যাদের ছবি নাম সব এক। ভোটার কার্ডও একাধিক রয়েছে যেখানে নাম ছবি সব এক। এই কার্ডগুলি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় কমিশন।
তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নাম ও পদবির বানান কিছুটা অন্য়রকম। এদিকে একই ছবি রয়েছে কিন্তু একাধিক ভোটার কার্ড এমন নজিরও রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোথাও অনিয়ম হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এগুলি ভুয়ো ভোটার হয় অথবা একাধিক ভোটার কার্ড বানিয়ে ভোটের দিন সমস্যা তৈরি করার জন্য় তৈরি করা হয়ে থাকে তবে তার আগেই এগুলিকে বাদ দিতে চাইছে কমিশন। সেই মতো জেলা প্রশাসনের কাছে এই কার্ডগুলি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। তবে সবগুলিই যে ভুয়ো এমনটা নয়। তবে মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনটাও হতে পারে একই ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড একাধিক জায়গায় করা হয়েছে। কিন্তু করার সময় আগের কার্ডের ব্যাপারে বলা হয়নি। তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন। কেন এই ধরনের বেআইনি কাজ করা হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। এর পেছনে কোনও চক্র আছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
এদিকে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের কার্ডের সংখ্য়া সবথেকে বেশি রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এগুলিকে ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রি বা ডিএসই ভোটার কার্ড বলে উল্লেখ করা হয়। রাজ্যে এই ধরনের কার্ডের সংখ্যা ৪১ হাজার ৬৫১টি। এদিকে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি সংশোধিত ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে কমিশনের পক্ষ থেকে। তার আগে ওই ধরনের অসংগতিপূর্ণ ভোটার কার্ডের কথা সম্পর্কে জেলাগুলিকে জানানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত এই ধরনের ভোটার কার্ড কতটা বাদ যায় সেটাই দেখার।