দক্ষিণভারতের কার্যত ধুয়ে মুছে গেল বিজেপি। সবেধন নীলমণির মতো কর্ণাটকটা ছিল, সেটাও গেল। কর্ণাটকে বিজেপির একাধিক রথী মহারথী ধরাশায়ী হয়েছেন। তবে কিছুটা স্বস্তির কথা মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই সহ অন্তত ১১জন মন্ত্রী জয়ী হয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গেই পরাজিত হয়েছেন ১১জন হেভিওয়েট ।
৩৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তাঁর ভোট শেয়ার ৫৪.৯৫ শতাংশ। যারা এই সংকটের দিনেও যারা জয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম আরাগা জ্ঞানেন্দ্র, সিসি পাতিল, প্রভু চৌহান, এসটি সোমেসিখির, বইরাতি বাসবরাজ, গোপালাইয়া, শশীকলা জোলে, সুনীল কুমার, মুনিরত্ন, শিবারাম হেব্বার।
এদিকে আবাসন মন্ত্রী ভি সোম্মান্না পরাজিত হয়েছেন। এবার যে মন্ত্রীরা পরাজিত হয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে অন্য়তম হলেন, বিএস বিএস শ্রীরামুলু, মধুস্বামী, গোবিন্দ কারাজোল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর, এমটিবি নাগারাজ, বিসি পাতিল,মুরুগেশ নিরানি, কেসি নারায়ণগৌড়া, বিসি নাগেশ, শঙ্কর পাতিল।
এদিকে কমিশনের দেওয়া তথ্য় অনুসারে ১৩৬টি আসনে কার্যত জিতেই যাচ্ছে কংগ্রেস। অন্য়দিকে ৬৫টি আসনে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। দুটি আসনে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী। কল্যানা রাজ্য প্রগতি পক্ষ ও সর্বোদয়া কর্ণাটক পক্ষ একটা করে আসন পেয়েছে।
এদিকে এক্সিট পোলের সমীক্ষা অনুসারে বলা হচ্ছিল ত্রিশঙ্কু হতে পারে কর্ণাটকে। তবে কিছুক্ষেত্রে বলা হচ্ছিল এগিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস। আবার কেউ বলছিলেন সামান্য হলেও এগিয়ে যাবে বিজেপি।
কিন্তু শেষ হাসিটা হাসলেন রাহুল গান্ধীই। তবে সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিরাট ধাক্কা খেল বিজেপি। কার্যত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুসারে বলাই যায় বিজেপি মুক্ত হল দক্ষিণভারত।