বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেরালায় হারানো জমি পুনরুদ্ধারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উম্মেন চ্যান্ডির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করল নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি (AICC)।
তিন মাস পরে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কেরালায় দলের দায়িত্ব দিতে সাতাত্তর বছরের চ্যান্ডির উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। হাইকম্যান্ডের ধারণা, বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের ঢিলেঢালা আচরণ আর সিদ্ধান্ত নিতে না পারার সমস্যার ফলেই সদ্যসমাপ্ত পুর নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে। ক্ষমতার অলিন্দে চ্যান্ডির প্রত্যাবর্তনে খুশি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) শরিকরাও।
দেশের প্রথম জোট রাজনীতির পটভূমি কেরালায় পালা করে ক্ষমতায় এসেছে সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন এলডিএফ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল কংগ্রেসের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে।
AICC-র তৈরি কমিটিতে রয়েছেন পিসিসি সভাপতি মাল্লাপল্লি রামচন্দ্রন, বিরোধী নেতা রমেশ চেন্নিথালা, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, তারিক আনওয়ার, শীর্ষ কংগ্রেস নেতা শশীথারুর, কে মূরলীধরণ, কোডিকান্নিল সুরেশ, ভি এম সুধীরণ এবং কে সুধাকরণ। তাঁরা নতুন নির্বাচনী কৌশল স্থির করার পাশাপাশি রাজ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতির তদারকিও করবেন।
দুই দিন আগে তিন বর্ষীয়ান নেতা চ্যান্ডি, চেন্নিথালা ও রামচন্দ্রণকে দিল্লি তলব করে বলে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে জয়লাভ করাই প্রধান বিষয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দলের প্রতি আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন নেতাকে। সেই সঙ্গে, নির্বাচনে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা ও নবীন প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কোনও মুখ প্রচারে রাখতে রাজি নয় শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশের যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে কংগ্রেসের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেরালা। গত লোক সভা নির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থীরা।