এবার মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াননি কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু। তাঁর পরিবর্তে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ছেলে ঈশা খান চৌধুরী। কিন্তু, চিরশত্রু বিজেপির গুনগান শোনা গেল ডালুর মুখে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার পাশাপাশি সিএএ নিয়ে তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলেও দাবি করলেন ডালু। লোকসভা ভোটের আগেই শুরু হয়েছে দলবদলের প্রবণতা। সেই আবহে কংগ্রেস সাংসদের এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডালু বাবুকে ঘরবন্দি রেখে জোর করে প্রার্থী হতে চান ছেলে ঈশা, বিস্ফোরক অভিযোগ
প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরির ভাই ডালু ওরফে আবু হাসেম খান চৌধুরি শনিবার মালদহের কোতোয়ালিতে প্রাসাদ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে অনেক ভালো লোক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও খারাপ নন। তৃণমূলই তাঁর নামে অপপ্রচার চালায়। তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে দোষী সাব্যস্ত করতে চাইছে তৃণমূল।’
অন্যদিকে, সিএএ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, এনআরসি চালু করে বিজেপি যে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেবে বলে প্রচার করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। এটা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসলে ভোট টানতে চাইছে তৃণমূল। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এখন একে একে তৃণমূল নেতাদের জেলে ভরছে। ওরা এখন নিজেদেরই বাঁচাতে পারছে না। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তৃণমূলের কিছু করার ক্ষমতা নেই।
অন্যদিকে, তিনি কেন ভোটে দাঁড়ালেন না সেই ব্যাখ্যাও করেছেন। সে প্রসঙ্গ কংগ্রেস সাংসদ জানান, পিঠে ব্যথার কারণে তিনি কলকাতার হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। তিনি নিজেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কংগ্রেসও তাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। কিন্তু,অসুস্থতার কারণে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি।
তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিজেই ছেলের হয়ে প্রচার চালাবেন। সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইবেন। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে দক্ষিণ মালদহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, মানুষ ইশাকে মেনে নিবেন। কারণ ইশা ভালো ছেলে ও কাজের ছেলে। অন্যদিকে, সেখানে তৃণমূল যেমন ভোট পাবে না তেমনি বিজেপিও ভোট পাবে না বলে তিনি দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির অনেক সমর্থক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। এছাড়াও এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে কার্যত গেরুয়া শিবিরের পাশে দাঁড়ান আবু হাসেম খান চৌধুরি।