প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব মিটেছে। আগামী ২৬ এপ্রিল রয়েছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই দফায় বাংলার কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট। তবে এরই মধ্যে রায়গঞ্জ থেকে একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, ভোটের স্লিপ বিলি করতে গিয়ে এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে এক যুবক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত যুবককে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায় জড়িত যুবক হল তৃণমূল কর্মী। যদিও এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুনঃ ‘বিজেপি জিতলে তুলে নিয়ে যাব’, তফসিলি বধূকে হুমকি, জাঙ্গিপাড়ায় গ্রেফতার যুবক
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জে ভোটের আগে স্লিপ বিলি করছিল ওই যুবক। সেই সময় একজনের বাড়িতে ভোটের স্লিপ দিতে গিয়ে জল চাওয়ার নাম করে ওই বাড়ির এক যুবতীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এরপরে এলাকাবাসীরা ওই যুবককে ধরে ফেলে এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলেন। অন্যদিকে, এ ঘটনার পরে সন্দেশখালির মহিলাদের ১২ জনের একটি দল রায়গঞ্জে পৌঁছে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করে। তারা এই ঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
রায়গঞ্জে ভোটের আগে এমন ধরনের ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। তারা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের বক্তব্য, যদি ভোটের আগেই তৃণমূলের কর্মীরা এই ধরনের কাণ্ড করে তাহলে ভোটে জিতলে মহিলাদের আর কোনও নিরাপত্তা থাকবে না। তাদের বক্তব্য, মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের কর্মী নয়। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। একই সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, প্রতিটি দলেই যেমন কিছু ভালো মানুষ থাকেন তেমন কিছু খারাপ লোকও থাকে। তবে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রথম দফার ভোট হয়েছে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে বাংলার ৩টি কেন্দ্র ছিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে। ১৩টি রাজ্যের ৮৯টি আসনে ভোট হবে।