বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের গান্ধীনগর আসনটি। ২০১৯ সালে এই আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু শাহ নয়, এর আগে এই আসনে একাধিকবার জয়ী হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। এমনকী এই আসনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন দেশের প্রথম বিজেপি প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী। এবারও এই আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার আশায় আছে পদ্ম শিবির। এই আবহে গান্ধীনগর আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই। দেশের বাকি সব লোকসভা আসনের সঙ্গে আজ গান্ধীনগর আসনে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রে অমিত শাহকে পরীক্ষায় বসতে হবে মে মাসের ৭ তারিখে। (আরও পড়ুন: সন্দেশখালি, দুর্নীতি… তাও লোকসভা ভোটে বাংলায় এগিয়ে থাকবে তৃণমূল, দাবি সমীক্ষায়)
আরও পড়ুন: কর্মবিরতির ৫৫ দিনের বেতন দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের, রাজ্যে একলাফে ডিএ বেড়ে ২৩০%
এদিকে বিজেপি গান্ধীনগর আসনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। গুজরাটে ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগির নিরিখে এই আসনটি থেকে কংগ্রেসেরই প্রার্থী দেওয়ার কথা। এদিকে গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনই (গান্ধীনগর উত্তর, কালোল, সানন্দ, ঘাটলোড়িয়া, ভেজালপুর, নরণপুরা এবং সবরমতী) বর্তমানে বিজেপির দখলে। (আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ডে সবচেয়ে বেশি টাকার অনুদান বাংলা থেকেই, পরিসংখ্যানে ঘুরবে মাথা)
আরও পড়ুন: 'ফ্যামিলি পেনশন' নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি, জেনে রাখা উচিত সরকারি কর্মীদের পরিবারের
গান্ধীনগর লোকসভা আসনটি ১৯৬৭ সালে গঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৬৭ এবং ৭১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সোমচাঁদভাই সোলাঙ্কি। এরপর ১৯৭৭ সালের ভোটে জনতা পার্টির পুরুষোত্তম মাভলানকর জিতেছিলেন এই আসনে। এরপর ১৯৮০ সালে কংগ্রেসের অমৃত প্যাটেল এবং ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের জিআই প্যাটেল জয়ী হয়েছিলেন এই আসন থেকে। এরপর থেকে একচেটিয়া ভাবে এই আসনটি ধরে রেখেছে বিজেপি। ১৯৮৯ সালে বিজেপির শঙ্করসিং বাঘেলা, ১৯৯১ সালে বিজেপির লালকৃষ্ণ আডবাণী, ১৯৯৬ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী (তিনি লখনউতেও লড়েছিলেন, লখনউতে জেতায় গান্ধীনগর আসনটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন), ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে বিজেপির বিজয়ভাই প্যাটেল। এরপর ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ সালে এই আসন থেকে টানা জিতেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। এরপর ২০১৯ সালে এই আসন থেকে লড়ে সংসদে গিয়েছিলেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: 'দিল্লির লাড্ডু', বাংলার কর্মীদের ১৩% ভাতা বাড়িয়েই কড়া নির্দেশিকা জারি সরকারের
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই গান্ধীনগর আসন থেকে অমিত শাহ পেয়েছিলেন ৮ লাখ ৯৪ হাজার ভোট। শতাংশের নিরিখে তা ৬৯.৬৭ শতাংশ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের চতুরসিং জবনজি চওড়া। তিনি পেয়েছিলেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ভোট (২৬.২৯ শতাংশ)। অর্থাৎ প্রায় ৫ লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে অমিত শাহ এই আসনে হারিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এই আবহে এবারও এই গান্ধীনগর আসনে প্রথম থেকেই যেন এগিয়ে আছেন বিজেপির চাণক্য।