বর্ধমান পূর্বে বিজেপি প্রার্থী করেছে অসীমকুমার সরকারকে। মতুয়াদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিনি। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক। কীর্তন শিল্পী, লোকশিল্পী বলেও খ্য়াতি রয়েছে। এবার তাঁকেই বর্ধমান পূর্ব থেকে প্রার্থী করল বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যন্ত সুকৌশলে অসীম সরকারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। মতুয়া ভোটকে বিজেপির ঝুলিতে পুড়তে অসীম সরকারকে কাজে লাগাতে পুরোপুরি তৈরি বিজেপি।
অসীম সরকার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন,আমি কী করেছি জানি না। মন প্রাণ দিয়ে লড়াইটা করেছি। আমি কোনওদিন ভাবতে পারিনি। আমি কখনও এটা ভাবতে পারিনি। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি যে দায়ভার আমার উপর অর্পন করেছে তার শক্তি যেন তিনি দেন।
তিনি বলেন, বর্ধমান পূর্বের কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। জাতিধর্ম নির্বিশেষে বোঝেন যে অসীম সরকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়়িত নন। আমি জনতা জনার্দনের চাকর হয়ে সেবা করার জন্য তৈরি, সেটাই আমি করি। এরপরই আবেগে চোখে জল অসীম সরকারের। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন আমায় ফোন করেছেন। তাঁরা বলেন আর পারছি না। এমন একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল তৃণমূল। আমাদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অশেষ ধন্য়বাদ। তাঁরা আমাকে এত বড় সম্মান জানিয়েছেন।
হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি এবার দাঁড়ালেন বর্ধমান পূর্ব আসন থেকে। বিগত দিনে তিনি বার বার নাগরিকত্বের দাবিতে সুর চড়াতেন। এমনকী মাঝেমধ্য়ে এই ইস্যুতে দলকে অস্বস্তিতেও ফেলতেন তিনি। তবে ভোটের মুখে তাঁকে প্রার্থী করে বিরাট চাল দিল বিজেপি। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
অনেকের মতে, দলের অন্দরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে অসীম সরকারের। তবে তাঁকে প্রার্থী করে কার্যত এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারল বিজেপি। প্রথমত তাঁর মনে যদি কোনও অসন্তোষ জমে থাকে তবে সেটা গলে জল। সেই সঙ্গেই মতুয়াদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিএএ নিয়ে যদি কারোর মধ্য়ে কোনও অসন্তোষ থাকে তবে অসীম সরকারকে প্রার্থী করে তাতেও জল ঢেলে দিল বিজেপি।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বর্ধমান পূর্বে কতটা দাগ কাটতে পারেন সেটাও দেখার। তবে অসীম সরকারকে প্রার্থী করে বড় কৌশলী পদক্ষেপ নিল বিজেপি। এদিকে এর আগে লোকগানের সুরে বার বার তৃণমূলকে বিঁধলেন তিনি। এবার প্রচারে বেরিয়ে গানে গানে তৃণমূলকে কতটা আক্রমণ করেন তিনি তার জন্য় অপেক্ষা করছে পূর্ব বর্ধমান।