ভোটে দাঁড়িয়েই কুকথার বর্ষণ শুরু করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে তিনি যে কথা বলেছেন তাতে মাথা হেঁট অনেকেরই। তবে এবার দ্রুত পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় বিজেপি। শোকজ করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কথা উল্লেখ করে রীতিমতো চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে সর্বভারতীয় বিজেপি।
সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে আপনার বক্তব্য বিজেপির আদর্শের বিরোধী। পার্টি এই বক্তব্যে নিন্দা করছে। এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য নিয়ে ব্যাখা চেয়েছেন জেপি নড্ডা। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দল এই বক্তব্যের নিন্দা করছে। এবার দিলীপ ঘোষ, বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী এই মন্তব্যের কী ব্যাখা দেন সেটাই দেখার। তবে বক্তব্য বলার পরেই তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যা বলার বলে দিয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন তিনি এই বেফাঁস মন্তব্য করলেন? তবে কি মেদিনীপুর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে পরিকল্পিতভাবে দলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন?
গত বিধানসভা ভোটের আগেও ঠিক একইভাবে তিনি এই ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করতেন। ফের তাঁর মুখে এই ধরনের কুকথা। তবে ঠিক কী বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ?
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি গোয়ায় গিয়ে বলেন, ‘আমি গোয়ার মেয়ে’। ত্রিপুরায় গিয়ে বলেন, আমি ‘ত্রিপুরার মেয়ে’। আরে বাপ তো আগে ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।’
এদিকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। ভোটবাজারে এই ধরনের কথা বললে যে আখেরে আরও বিপাকে পড়বে বিজেপি সেটা বলাই বাহুল্য। সেকারণে এনিয়ে আর কথা বাড়াতে চায়নি বিজেপি। তবে তৃণমূল কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কমিশনে নালিশ করেছে।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওঁর নিজের দল তো ওঁকে মেদিনীপুর থেকে ঘাড়ধাক্কা, গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। তাই মানসিক অবসাদে উনি এখন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। আরে আপনার দলই তো আপনাকে অপমান করে। আপনি তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছেন। আপনাদের জন্য সত্যিই লজ্জা হয়।’ একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে তৃণমূল। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, ‘এটা বিজেপির ডিএনএ। তাঁরা বরাবর মহিলা বিরোধী মন্তব্য করেন। এই ভাষাতে স্পষ্ট তাঁদের মানসিকতা। বাংলার মানুষ আপনাদের জবাব দেবে।’
তবে বিজেপিও এবার দিলীপ ঘোষের কাছে এই মন্তব্যের ব্যাখা চেয়েছে।