শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার হঠকারীর মতো রান-আউট না হলে লজ্জার শেষ থাকত না বাবর আজমদের। রীতিমতো ভাগ্যের সাহায্য নিয়ে নিউজিল্যান্ডের কার্যত দ্বিতীয় সারির দলকে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে পরাজিত করে পাকিস্তান। কোনও রকমে ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ড্র করেন বাবররা।
সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ লিড নেয় পাকিস্তান। তৃতীয় ও চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ জিতে পাকিস্তানকে পালটা কোণঠাসা করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দল। শেষমেশ পঞ্চম ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে পাকিস্তান।
রবিবার লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম। ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদান রাখেন ফখর জামান ও উসমান খান।
বাবর ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৯ রান করে আউট হন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৩১ রান করেন উসমান খান। ফখর জামান ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৪৩ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন জাকারি ফোকস, উইলিয়াম ও'রোর্ক, বেন সিয়ার্স, ইশ সোধি ও জেমস নিশাম। উইকেট পাননি মাইকেল ব্রেসওয়েল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড একসময় ১ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তুলে ফেলে। মাঝে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারায় তারা। কিউয়িরা ১৯ ওভারে সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান। সুতরাং, শেষ ওভারে জিততে ১২ রান দরকার ছিল তাদের। হাতে ছিল ২টি উইকেট। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ব্যাট করছিলেন জোশ ক্লার্কসন। শেষ ওভারের প্রথম ২টি বলে রান-আউট হন নিউজিল্যান্ডের দুই টেল এন্ডার ব্যাটার বেন সিয়ার্স ও উইলিয়াম ও'রোর্ক। ক্লার্কসন ৩৮ রানে নট-আউট থেকে যান।
নিউজিল্যান্ড ১৯.২ ওভারে ১৬৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৯ রানে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। সেই সুবাদে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়। নিউজিল্যান্ড হারায় ব্যর্থ হয় ওপেনার টিম সেফার্তের ৩৩ বলে ৫২ রানের লড়াকু ইনিংস। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ব্রেসওয়েল ২৩, চাপম্যান ১২ ও নিশাম ১৬ রান করেন।
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২১ রানে ২টি উইকেট নেন উসামা মীর। ১টি করে উইকেট নেন শাদব খান ও ইমদ ওয়াসিম। মহম্মদ আমির ৩.২ ওভারে ৪১ রান খরচ করেও উইকেট পাননি। ম্যাচের সেরা হন শাহিন আফ্রিদি। সাকুল্যে ৮টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন শাহিন।