এতদিন ছন্দে ছন্দে তৃণমূলকে আক্রমণ করতেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তবে টিকিট না পেয়ে সেই রুদ্রনীল এবার কার্যত অভিমান উগরে দিচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমে।
এদিকে সুযোগ পেয়ে সেই কুণাল এবার ছড়ার মাধ্য়মে বিঁধলেন রুদ্রনীল ঘোষকে। তিনি কবিতা লিখেছেন, 'রুদ্রনীলের কবিতা গেল হোঁচট খাইয়া, গাছে তুলে ওরা নিল মইটি কাড়িয়া'।ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রুদ্র ছাড়ছেন গ্রুপ, দেশোদ্ধারের বাণী এখন একেবারে চুপ।' মোক্ষম খোঁচা দিলেন কুণাল ঘোষ।
বাস্তবিকই একটা সময়ে এই রুদ্রনীলই কবিতার ছন্দে বিঁধতেন তৃণমূলকে। আর সেই রুদ্রনীলই এবার টিকিট না পেয়ে কার্যত হা হুতাশ করছেন।
এদিকে ইতিমধ্যেই সোমবার দলের একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তখন থেকেই নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল। তবে তিনি যে সব হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন এমনটা নয়।
তবে অভিমান যে হয়েছে সেটা অনেকটাই পরিস্কার। এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছেন তিনি। রুদ্রনীল বলেন, ‘শরীর থাকলে যেমন খারাপ হয় তেমনি মন থাকলেও খারাপ হবেই। রাজনৈতিক ক্ষেত্র দিয়েই তো প্রার্থী হয়ে ওঠা। …’
রুদ্রনীল বলেন, ‘আমার নিজের জীবন জীবিকা সরিয়ে দিয়ে প্রাণ দিয়ে কাজ করেছি। এক্ষেত্রে ৩৮টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এখনও চারটি বাকি। তার মধ্য়ে তিনটিই জেনারেল। ৩৮জনের মধ্য়ে আসতে পারিনি। তাই খারাপ লাগছে। মন খারাপ হয়েছে।’
বিগত দিনে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল রুদ্রনীলকে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগুনে ফেলে সোনা করার যে পদ্ধতি আছে ভবানীপুরে দাউ দাউ আগুনের মধ্যে আমাকে ফেলা হয়েছিল। যেখানে আমাকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেখানেও আমি এত ভোটে পেয়েছি…’
‘দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিল সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলাম। আমিও তাই বোঝার চেষ্টা করছিলাম। তবে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু তাঁদের কোন যোগ্যতাটা রয়েছে আর যার ফলে তারা প্রার্থী হয়েছেন আর আমার সেটা নেই, সেটা আমি অনুধাবন করার চেষ্টা করছি।’ সেই সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার আশাও তিনি জিইয়ে রেখেছেন।
তবে এবার প্রশ্ন তিনি কি বিজেপি ছাড়ছেন? এনিয়ে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, ‘এই দলের মধ্য়ে থেকে এই দলের ঝান্ডা নিয়েই আমি কাজ করব। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলাম। ২০১৭-১৮ সাল থেকে যারা চুরি জোচ্চুরি করেছিল তাদের রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। …সেকারণেই বেরিয়ে আসি।’
তবে এবার রুদ্রনীলের অভিমান নিয়ে ছড়া কাটছেন কুণাল। তিনি বলেন, রুদ্রনীলের কবিতা গেল হোঁচট খাইয়া, গাছে তুলে ওরা নিল মইটি কাড়িয়া'।